‘মেসিকে বিশ্রামে পাঠানো উচিত’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ০৮ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপ ব্যর্থতার চূড়ান্তে পৌঁছে শেষ ষোল থেকেই বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ফুটবলের এই বিশ্ব আসরে খেলা ৪ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরোরা।

তাই আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা মারিও কেম্পেসের মতে বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে পুনরায় সাফল্য অন্বেষণে নামা উচিৎ আর্জেন্টাইনদের। মারিও কেম্পেসের বদৌলতেই ১৯৭৮ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা।

সেবার ফাইনালে ২ গোলসহ মোট ৬ গোল করে নিজ দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পাশাপাশি কেম্পেস নিজেও পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার গোল্ডেন বুট। পরে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাতে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ৩২ বছর ধরে শিরোপাখরায় ভুগছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার বর্তমান দল নিয়ে আর কোন কিছু জেতা সম্ভব নয় বলে মনে করেন কেম্পেস। তবে দলের প্রাণভোমরা মেসিকে এখনই হিসেবের বাইরে ফেলে দিতে রাজি নন তিনি। দিন দুয়েক আগে মেসিদের কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা কেম্পেস যেনো আর্জেন্টিনাকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেন সংক্ষেপে।

Kempes

তিনি বলেন, ‘মেসিকে অবশ্যই জাতীয় দল থেকে বিশ্রামে পাঠানো উচিত। কেননা সে এখন আর পারছে না। আর্জেন্টিনায় যেসব খেলোয়াড় আছে তাদের নিয়ে আমাদের পরবর্তী মিশনের জন্য নেমে পড়া উচিত। এরপর প্রয়োজন পড়লে তাকে (মেসি) ডেকে নেয়া যাবে।’

এসময় মেসিদের বর্তমান দল সম্পর্কে কেম্পেস বলেন, ‘আমাদের এখন নতুন করে সব সাজানো উচিত। গত দশ বছর ধরে এই একই দল খেলছে। কিন্তু সাফল্যের ভাণ্ডার এখনো শূন্য। এখানেই শেষ, এদের চক্রপূরণ হয়েছে। এখন অন্যান্য নতুন খেলোয়াড়দের খোঁজ করা উচিৎ।’

এছাড়াও বর্তমান দলে মেসি নির্ভরতার কারণেই যত সমস্যা বলে উল্লেখ করেন কেম্পেস। দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা ঠিকঠাক নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না বলেও মনে করেন তিনি ।

কেম্পেস বলেন, ‘আর্জেন্টিনা এখন মেসি বলতে পাগল। সে এই দলের প্রাণভোমরা। যেদিন মেসি ব্যর্থ হয়, সেদিন অন্য কেউ দলের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিতে পারে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আমি ব্যক্তিত্ববোধ ও সাহসের কমতি দেখতে পাই।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।