মেসির সমালোচনা করায় ভাঙছে ১৪ বছরের সংসার!
রাশিয়া বিশ্বকাপকে কেন্দ্র সারা বিশ্বে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। নিজ দলের সাফল্যে যেমন আনন্দে ভাসছে সমর্থকরা, তেমনি প্রিয় দলের ব্যর্থতায় হতাশায় মুষড়ে পড়ছেন দর্শকরা। কেউ কেউ হতাশার ভারে করে বসছেন আত্মহত্যার মতো মারাত্মক ভুলও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অদ্ভুত এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বসল এক রাশিয়া দম্পতি।
আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির সমালোচনা করায় নিজের ১৪ বছরের সংসার বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন রাশিয়ার এক নাগরিক। রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে এই খবর। চেলিয়াবিনস্ক শহরের বাসিন্দা আর্সেন, নিজের সহধর্মিনী লুডমিলার সাথে আর সংসার করতে চাচ্ছেন না।
রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর উন্মাতাল উদযাপন করেছিলেন আর্সেন। কারণ সেই জয়েই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছিল দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
কিন্তু আর্সেনের এই উদযাপন ভালোভাবে নেয়নি তার স্ত্রী লুডমিলা। তিনি বারবার সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করছিলেন আর্সেনের প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসিকে। সংবাদ মাধ্যমে আর্সেন বলেন, ‘বিশ্বকাপের শুরু থেকে সে (লুডমিলা) মেসিকে নিয়ে হাস্যরস করে আসছিল। বারবার বলেছে মেসি খেলতে পারে না, মেসির কোন সামর্থ্য নেই। এমনকি আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টিতেও গোল করতে পারেনি।’
শেষমেশ ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে আর্জেন্টিনার বিদায়ের পর বাড়ি ছেড়েই চলে যান আর্সেন। বাড়ি ছাড়ার ব্যাপারে নিজের স্ত্রীকে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ব্যাপারে নিজের মতামত জানিয়ে আসেন আর্সেন। তিনি বলেন, ‘শেষ ম্যাচের পর আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি তাকে তার প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ব্যাপারে নিজের মতামত জানাই এবং নিজের জিনিসপত্র নিয়ে আজীবনের জন্য বাড়ি ছেড়ে যাই।’
বাড়ি ছাড়ার পরদিনই লুডমিলার কাছে আনুষ্ঠানিক তালাক নোটিশ পাঠান আর্সেন। যার ফলে ১৪ বছরের সংসারের শেষের শুরুর ঘণ্টা বেজে যায়। ২০০২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই পরিচয় হয় আর্সেন ও লুডমিলার। এরপর ভালোবাসা, তারপর বিয়ে।
ভিন্ন ভিন্ন পছন্দের সমর্থক হলেও সুখেই কাটছিল আর্সেন-লুডমিলার সংসার। কিন্তু লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপের ব্যর্থতা আর সইতে পারলেন না আর্সেন। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদেই শেষ হচ্ছে তাদের ১৪ বছরের সংসার।
এসএএস/জেআইএম