বিদায়ই বলে দিলেন ইনিয়েস্তা
বিশ্বকাপ শেষে এমনিতেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিতেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। কিন্তু বিদায়টা যে এত তাড়াতাড়ি বলে দিতে হবে, তা ভাবতে পারেনি কেউ। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডেই স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে অঘটনের শিকার হয়েছে স্পেন এবং টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারের পরই স্পেন জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দেশটির হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার।
ক্লাব ফুটবল থেকেও নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে এনেছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন নিজের বাল্যকালের ক্লাব বার্সেলোনাকে। গেছেন জাপানি এক ক্লাবে। ব্যাপারটা এমন যে, সরকারী চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার আগে কিছুদিন এলপিআরে থাকা।
ইনিয়েস্তার জন্য বিশ্বকাপটা ছিল একেবারে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট। বিদায়বেলায় দেশকে কিছু দেয়ার অভিপ্রায় ছিল। স্পেন সোনালি প্রজন্মের সেনানীরা একে একে বিদায় নিয়েছে। ইনিয়েস্তার সহযোগী জাভি, পুয়োল, ডেভিড ভিয়া নেই। ফ্যাব্রেগাস, ক্যাসিয়াররা অবসরের ঘোষণা না দিলেও, সরে গেছেন ফুটবল থেকে। ক্লাব ফুটবলে থাকলেও আর জাতীয় দলে ডাক পাবেন না এটা নিশ্চিত।
ইনিয়েস্তা ছিলেন অনেকটা শেষ প্রতিনিধি; কিন্তু তিনি শেষ টুর্নামেন্টে এসে পারলেন না, নিজেকে মেলে ধরতে। রাশিয়ার বিপক্ষে তো ইনিয়েস্তাকে সেরা একাদশেই রাখেননি কোচ ফার্নান্দো হিয়েরো। দলের অন্যতম সেরা, আরেকজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভাকে বসিয়ে রেখে, ম্যাচের ৬৭ মিনিটে মাঠে নামেন তিনি। খেলেন ১২০ মিনিট পর্যন্ত। শেষে টাইব্রেকারে শটটাও তিনি জালে জড়িয়েছেন। কিন্তু দলকে আর জেতাতে পারেননি।
গত মে মাসেই ইনিয়েস্তা ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, বিশ্বকাপের পরই থেকে বিদায় বলে দেবেন তিনি। রাশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর তিনি বলেন, ‘স্পেনের হয়ে এটাই ছিল আমার শেষ ম্যাচ। আমার অভিযাত্রার এখানেই সমাপ্তি। কখনও কখনও কোনো বিষয় থাকে যা আপনি যেমন চাইবেন, তেমন হয় না। আমারও হয়নি।
ক্যারিয়ারে জিতেছেন একটি বিশ্বকাপ এবং দুটি ইউরো। ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে বিশ্বকাপজয়ী গোলটি এসেছিলেন ইনিয়েস্তার পা থেকেই। স্পেনের হয়ে ১৩১টি ম্যাচ খেলেন তিনি। চতুর্থ সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলোয়াড় তিনি। ইকার ক্যাসিয়াস, সার্জিও রামোস এবং জাভি হার্নান্দেজ কেবল তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। দলের হয়ে গোল করেছেন ১৩টি।
আইএইচএস/জেএইচ