উপায় ছিল না : সময় নষ্ট করা নিয়ে জাপান কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ২৯ জুন ২০১৮

নেতিবাচক ফুটবল যাকে বলে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে জেতার কোনো চেষ্টাই করলো না জাপান। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে অপর ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার পরিকল্পনা করলো তারা। যে পরিকল্পনায় সফলও হয়েছে এশিয়ার দলটি। ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়া ম্যাচ নিয়ে জাপান কোচ আকিরা নিশিনো বললেন, ঝুঁকিটা নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না।

জাপানের জন্য ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিতলে বা ড্র করলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে, পোল্যান্ডের বিপক্ষে এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল এশিয়ার পরাশক্তিরা। হারলে একটাই সুযোগ ছিল, অপর ম্যাচে যদি কলম্বিয়া সেনেগালকে হারায়। সেই একটি সুযোগই কাজে লেগেছে আকিরা নিশিনোর দলের। পোল্যান্ডের কাছে ১-০ হেরেও ফেয়ার প্লে'র বদৌলতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে তারা।

ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ বোধ হয় ছিল অতিরিক্ত তিন মিনিট। এই সময়ে অদ্ভূত এক কান্ড ঘটায় দুই দল। পোল্যান্ডের জয় নিশ্চিত। জাপান এই তিন মিনিটে নিজেদের মধ্যে শুধু বল পাস দিয়ে সময় নষ্ট করেছে, পোল্যান্ডও বল নিতে চায়নি। অপর ম্যাচে সেনেগালকে ১-০ গোলে কলম্বিয়া হারানোয় ফেয়ার প্লে'তে (হলুদ কার্ড) এগিয়ে থাকা জাপানের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে ছিল। তারা সেই অপেক্ষাতেই সময় নষ্ট করে।

সব ঠিক আছে। কিন্তু অপর ম্যাচে যদি শেষ সময়ে সেনেগাল গোল শোধ করে দিত? তবে জাপানকে বাদ পড়তে হতো। এমন ঝুঁকি নিয়েই ম্যাচটা শেষ করেছে তারা। ভাগ্যের উপরই যেন ছেড়ে দিয়েছিল সব।

দলের নেতিবাচক কৌশল নিয়ে জাপান কোচ নিশিনো বলেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নেই, আমরা আরেক ম্যাচের ফলের উপরই নির্ভর করব। পরিস্থিতিটা নিয়ে আমরা অবশ্যই খুশি ছিলাম না। ইচ্ছে করে এমনটা করতে চাইনি। তবে এটা খুবই কঠিন আর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ছিল।'

পোল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেই খুশি নন জাপান কোচ। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে আর কোনো উপায়ও ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা আজ (ম্যাচের দিন) নিজেদের খেলা নিয়ে মোটেই খুশি নই। আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চেয়েছি। একমাত্র এই পথটাই খোলা ছিল।'

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।