হলুদ হয়ে উঠছে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম, রাশিয়া থেকে
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ২২ জুন ২০১৮

হোটেল থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে পৌঁছুতে পার হতে হয় মেট্রো ট্রেনের ৬টি স্টেশন। মাঝে একবার ট্রামেও চড়া মিনিট তিনেকের পথ। সকালে রুম থেকে বের হওয়ার পরই কানে আসলো একদল ব্রাজিল সমর্থকের ‘ব্রাজিল ওলে ওলে...’। একটু হাঁটতেই ডানে-বামে আর সামনে একই দৃশ্য।

স্টেশনে ঢুকতেই আভাস পাওয়া গেলো স্টেডিয়াম চত্বরে কী অবস্থা হবে। এক একটি স্টেশন আসছে আর হুড়মুড় করে মানুষ ঢুকছে মেট্রোয়। গাদাগাদি করে দাঁড়ানো সব যাত্রীর গন্তব্য নবোক্রেসতস্কায়া স্টেশন। যে স্টেশনের কয়েকশ গজের মধ্যেই দাঁড়িয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম।

মেট্রো থেকে নেমে স্টেশনের ওপর উঠতেই মিছিল আর মিছিল। যেন সরষে ক্ষেতে হলুদের ঢেউ। দুলছে পতাকা, চলছে ব্রাজিল.. ব্রাজিল... স্লোগান। পুরো সেন্ট পিটার্সবার্গের সব পথ যেন মিশে গেছে স্টেডিয়াম চত্বরে।

Brazil-3

আগের রাতে আর্জেন্টিনা শোচনীয়ভাবে হেরেছে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে যা আনন্দের নতুন সংযোজন। ‘মেসি চাও মেসি চাও’- মানে মেসির বিদায়। পর্তুগিজ ভাষায় আরো কত কিছু। সেগুলোর অর্থও জেনে নেয়া হলো এক ব্রাজিলিয়ানের কাছ থেকে। ম্যারাডোনার নাম নিয়ে কী বলছেন তারা? অর্থ বুঝিয়ে বললেন- ‘ম্যারাডোনার নাক কাটা গেছে।’ কখনো স্লোগান উঠছে, পেলের নামেও। বলছেন পেলেই বিশ্বসেরা।

সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের যতগুলো পথ, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত নবোক্রেসতস্কায়া মেট্রো স্টেশন। সেখান থেকে সারিবদ্ধ হয়ে হাজার হাজার হলুদ জার্সি পরা ব্রাজিল সমর্থক যখন স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য দাঁড়িয়ে, তখনো খেলা শুরুর ঘণ্টা তিনেক বাকি।

এ প্রতিবেদন তৈরির সময় দর্শক প্রবেশ করছিল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। নানা সাজের ব্রাজিল সমর্থকে হলুদ হয়ে উঠছে স্টেডিয়াম। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়) এই স্টেডিয়ামে নেইমাররা খেলতে নামবেন তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা।

আরআই/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।