নেইমারদের ঘুম হারাম

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া থেকে
প্রকাশিত: ১২:৩৬ এএম, ২২ জুন ২০১৮

ঘুমাতে পারছেন না ব্রাজিলের ফুটবলাররা। নেইমারদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে সেন্ট পিটার্সবার্গ এসে। শুক্রবার রাশিয়ার অনিন্দম সুন্দর এ শহরে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এ ম্যাচের আগে ঘুমাতে পারছেন না ব্রাজিলের ফুটবলাররা।

কোস্টারিকার ম্যাচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ঘুমহীন ব্রাজিলের ফুটবলাররা, তা কিন্তু নয়। আসলে নেইমারদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে প্রায় ২১ ঘণ্টা সূর্যের আলো থাকায়। ব্রাজিলের বেসক্যাম্প সোচিতে। সেখান থেকে নেইমাররা প্রথম ম্যাচ খেলেছেন রোস্তভ এরেনায়, দ্বিতীয় ম্যাচ সেন্ট পিটার্সবার্গে। সোচি ও সেন্ট পিটার্সবার্গের দূরত্ব প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার। তাইতো রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহরে এসেই ঘুম সমস্যায় ব্রাজিলের ফুটবলাররা।

কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া থিয়েগো সিলভাই সংবাদ সম্মেলনে তাদের ঘুমে সমস্যার কথা বলেছেন। ২১ ও ২২ জুন বছরের সবচেয়ে বড়দিন। আর সেই বড় দিনটা রাশিয়ার এ শহরেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার ঘণ্টা তিনেক পরই দিবালোক।

দিয়েগো সিলভা যখন কোচের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন তখন তার সতীর্থরা স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েছেন অনুশীলনের জন্য। অধিনায়ককে তাইতো একটু আগেই ছেড়ে দিলেন সংবাদ সম্মেলন পরিচালনাকারী ফিফার অফিসিয়াল।

অধিনায়কের উদ্দেশ্যে করা শেষ দিকের একটি প্রশ্ন ছিল এত লম্বা দিনে তাদের কোনো সমস্যা হয় কি না? তখনই ঘুম সমস্যার কথা জানান ব্রাজিলের দ্বিতীয় ম্যাচের অধিনায়ক। এখানে এসে তারা অবাক হয়েছেন। কারণ, এমন পরিস্থিতিতে অভ্যস্থ নন ব্রাজিলের ফুটবলাররা।

‘বিষয়টি নিয়ে দলের ফিটনেস কোচ ফ্যাবিও সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারপরও এখানে আসতে আমাদের বিলম্ব হয়েছে। সবকিছুই ঠিকমতো ঘুমাতে না পারার কারণে। আমরা ফ্যামিলির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘুমাতে যাওয়ার পরপরই হয়ে যায় ভোর। ঘুম থেকে দেরিতে ওঠায় সকালের থেরাপি শেষ করতে করতে দেড়টা বেজে যায়। আমরা ঘুমের ঘুম সমস্যায় আছি’ বলেছেন ব্রাজিলের অধিনায়ক।

আরআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।