রোনালদোর গোলে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে পর্তুগাল
বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখিয়েই চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আগের ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন। মরক্কোর বিপক্ষেও তার দুর্দান্ত এক গোলে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পর্তুগাল। এতে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ফার্নান্দো সান্তোসের দল।
ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায়ই ধাক্কা খেয়ে বসে মরক্কো। পর্তুগালের আক্রমণে ম্যানুয়েল দ্য কস্তা বল ক্লিয়ার করেছিলেন। তাতেই কর্নার পেয়ে যায় রোনালদোর দল। কর্নার কিক নেন জোয়াও মুতিনহো। ডানদিক থেকে নেয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে আচমকা নিচু হয়ে হেড করে দেন রোনালদো, কিছু বুঝে উঠার আগেই মরক্কো গোলরক্ষক দেখেন বল জড়িয়ে গেছে জালে (১-০)।
৯ম মিনিটে আরও একটি গোল পেতে পারতেন রোনালদো। মরক্কোর ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে বক্সের ডান দিক থেকে শট নেন রিয়াল তারকা। রাফায়েল গুয়েরেইরোর কাছ থেকে পাওয়া বলটি একটুর জন্য পোস্টের বাম দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়।
পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে মরক্কোও। ম্যাচের ১১ মিনিটে মেধি বেনাতিয়ার বক্সের মধ্য থেকে নেয়া হেড ফিরিয়ে দেন পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিও। ১৪ মিনিটে দ্য কস্তার আরেকটি হেড বারের ডান দিক দিয়ে বাইরে চলে যায়।
এর চার মিনিট পর হাকিম জিয়েচের বাঁ পায়ের শট বক্সের মধ্য থেকে ক্লিয়ার করে দেয় পর্তুগাল। ২৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তার আরেকটি শট আটকে দেন গোলরক্ষক প্যাত্রিসিও। এরপর আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল মরক্কো। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
৩৯ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকে বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন পর্তুগালের গনক্যালো গুয়েদেস। তার দুর্দান্ত ভলিটি এল কাজুই এক হাতে ফিরিয়ে দিলেও সেটা হাত থেকে ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু ফিরতি বলে আর পা লাগাতে পারেননি গুয়েদেস।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোলের দারুণ একটি সুযোগ ছিল মরক্কোর। ইউনুস বেলহানদা হেড লাগানোর পর মেধি বেনাতিয়ারও খুব কাছে দিয়ে বল চলে যায় বাইরে। বক্সের ডান দিকে থেকেও তাতে অল্পের জন্য মাথা ছুঁয়াতে পারেননি মরক্কো অধিনায়ক।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটে অনেকটা সময় নিয়ে একটা আক্রমণ তৈরি করেছিল পর্তুগাল। বক্সের বাঁ পাশ থেকে বল গুয়েদেস বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রোনালদোর দিকে। ডান দিক থেকে দৌড়ে এসে আচমকা বলটা অনেক উপর দিয়ে মেরে দেন রিয়াল ফরোয়ার্ড।
৫৫ মিনিটে ডান দিক জোড়ালো এক শট নিয়েছিলেন বেলহানদা। দারুণ দক্ষতায় সেটা লাফিয়ে ধরে ফেলেন পর্তুগাল গোলরক্ষক প্যাত্রিসিও। পরের মিনিটে আরও একটি দুর্দান্ত সেভ করেন তিনি। সেট পিস থেকে নেয়া আমরাবাতের কিকে হেড করেছিলেন বেলহানদা। এবার সেটা ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে নিশ্চিত গোল থেকে রক্ষা করেন প্যাত্রিসিও।
৬০ মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট করে মরক্কো। সেট পিসে দূর থেকে বল পেয়েই সেটা পায়ে লাগিয়েছিলেন বেনাতিয়া। কিন্তু বক্সের একদম মাঝামাঝি থেকে করা তার ভলিটি বারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়। ৬৭ মিনিটে গুয়েইরোর ফাউলে ফ্রি-কিক পায় মরক্কো। এবার জিয়েচের বাঁ পায়ের শটও বারের একটু উপর দিয়ে মাঠ ছাড়ে।
৭৮ আর ৮১ মিনিটে বেনাতিয়া আর নাবিল দিয়ারের দুটি শটও জাল খুঁজে পায়নি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে আবারও বারের উপর দিয়ে মেরে দেন বেনাতিয়া। এমন গোল মিসের মহড়ায় ম্যাচটি শেষ হয়েছে মরক্কোর। প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।
এমএমআর/জেআইএম