মস্কো যেন মেসিদের শহর
মস্কো সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ড ম্যাচ। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই এই শহরের দ্বিতীয় ভেন্যু স্পার্টাক স্টেডিয়াম এলাকা লোকে লোকারণ্য। এই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনার সঙ্গে লড়াই নতুন আইসল্যান্ডের। কিন্তু স্টেডিয়াম এলাকার পরিবেশ যেন জানিয়ে দিচ্ছে, এটাই এই বিশ্বকাপের প্রথম বড় ম্যাচ।
ম্যাচটা আইসল্যান্ডের জন্য বড় ঠিকই। দেশটির মানুষ নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন। প্রথম বিশ্বকাপ। আবার উদ্বোধনী ম্যাচ মেসিদের বিপক্ষে। এ যেন 'দুধে -আলতা' পুচকে আইসল্যান্ডের সমর্থকদের কাছে। হাজার হাজার আইসল্যান্ড সমর্থক এখন মস্কোতে। এর বাইরে বিভিন্ন দেশের আর্জেন্টিনার সমর্থক তো আছেই। মেসি-রোজোদের জার্সি গায়ে সমর্থকরা কোরাস গাইছেন। যে কারোরই মনে হতে পারে, এটা যেন মেসিদের দেশের কোনো শহর।
মস্কোর অলিগলিতে এখন আর্জেন্টিনার সমর্থক। দুপুরে স্টেডিয়াম আসার পথে মস্কোর রেড স্কয়ারে ঢুঁ মারার লোভ সামলাতে পারলাম না। স্টেডিয়াম যাওয়ার আগে সেখানে নাকি দুই দেশের সমর্থকদের চলছে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। আসলে আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের যতো সমর্থক মস্কোতে, তাদের ম্যাচ টিকিট নেই বেশিরভাগের। যাদের গলায় ফ্যানআইডি ঝোলানো তাদের গন্তব্য স্পার্টাক স্টেডিয়াম। বাকিদের ফ্যানফেস্ট জোনে। সেখানেই বড় পর্দায় মেসিদের খেলা দেখবেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
দুপুরের রেড স্কয়ার যেন এক খন্ড আর্জেন্টিনা। আর দুপুরের পর থেকে স্পার্টাক স্টেডিয়ামে পা রেখে চোখ তো ছানাবড়া-এতো আর্জেন্টিনার সমর্থক! একজন আর্জেন্টিনার সমর্থকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আনুমানিক কত সমর্থক তাদের দেশ থেকে এসেছেন। তিনি বলতে পারেননি। শুধু হাতের ইশারায় বোঝালেন অনেক, অ-নে-ক।
স্পার্টাস মেট্রো ষ্টেশন থেকে বের হওয়ার পথটা যেন থমকে গিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় তখন মুখোরিত ফুটবলময় করে সাজানো এ ষ্টেশনটি। কয়েকশ গজ সামনেই স্পার্টাক স্টেডিয়াম। কিন্তু পথ যেন ফুরোচ্ছিল না। মানুষ যে গায়ে গায়ে। হাঁটবে কী করে?
আরআই/এমএমআর/পিআর