টেকনোলজির সহায়তায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ফ্রান্স
কাজান এরিনায় দুর্দান্ত এক ম্যাচই উপহার দিলো ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া। দুই পেনাল্টির রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। দেশমের দলের পক্ষে গোল করেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান আর পল পগবা। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র গোলটি করেন মাইল জেডিনাক।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই অস্ট্রেলিয়াকে আক্রমণ করে ফ্রান্স। ডান প্রান্ত দিয়ে কিলিয়ান এমবাপের শট আটকে দেন অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাথিউ রায়ান। এর ঠিক তিন মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পল পগবার ফ্রি-কিকও সহজেই রুখে দেন তিনি। অষ্টম মিনিটে গ্রিজম্যানের হেডও জাল পায়নি।
১৮তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও।কিন্তু ম্যাথিউ লেকির হেড গোলবারের ডানদিক দিয়ে চলে যায়। এরপর অনেকগুলো সুুযোগ তৈরি করেছে ফ্রান্স। কিন্তু গোল আর পাওয়া হয়নি। ফলে প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়তে থাকে দুই দল। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি ফাউলও হয়। এরই মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুলটি করে অস্ট্রেলিয়া। ৫৬ মিনিটে গ্রিজম্যানকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন জস রিসডন। পেনাল্টি নিশ্চিত করতে ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। তাতেই ভাগ্য খুলে যায় ফ্রান্সের। গ্রিজম্যান শট নিয়ে গোল করতে ভুল করেননি (১-০)।
অস্ট্রেলিয়ার এই দুঃখ কাটতে অবশ্য বেশিক্ষণ লাগেনি। ৬১ মিনিটে উমতিতি বলতে গেলে একক ভুলে দলকে বিপদে ফেলেছেন। পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ইচ্ছে করে। এবার সেই পেনাল্টি শোধের সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার। মাইল জেডিনাকের জোড়ালো শট আটকানোর কোনো পথই খুঁজে পাননি ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস (১-১)।
৭০তম মিনিটে গ্রিজম্যানকে উঠিয়ে অলিভার জিরুকে মাঠে নামান ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। মিনিট দশেকের মাথায়ই আর্সেনালের এই তারকা কোচের অাস্থার প্রতিদান দেন। তার পাস থেকেই ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান পগবা। সময়ক্ষেপন না করে মুহূর্তেই শট নেন তিনি। বল বারের উপরের দিকে লাগলেও সেটা পড়ার সময় গোললাইন পেরিয়ে যায়। গোললাইন প্রযুক্তিতে ফ্রান্সও এগিয়ে যায় (২-১)।
পরের সময়টাতেও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখেছিল ফ্রান্স। কিন্তু আর গোল পায়নি।
এমএমআর/পিআর