মেসি-নেইমারের এক-একটি গোলে খাবার পাবে ১০ হাজার শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ০১ জুন ২০১৮

প্রতিপক্ষকে দুর্দান্তভাবে পাশ কাটিয়ে জালে বল জড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি কিংবা নেইমার। দেখলেও চোখ জুড়িয়ে যায়, মনের ক্ষুধা মেটে। না, এবার আর শুধু মনের ক্ষুধা মেটানোর কাজই করবে না আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের এই দুই ফুটবল তারকার গোল। তাদের এক-একটি গোল খাদ্য যোগাবে ১০ হাজার স্কুল পড়ুয়া শিশুর।

অভিনব এই উদ্যোগটি নিয়েছে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান 'মাস্টারকার্ড'। গত বৃহস্পতিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে আসন্ন বিশ্বকাপসহ যে কোনো অফিসিয়াল টুর্নামেন্টে মেসি কিংবা নেইমারে প্রতিটি গোলের জন্য লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্কুলপড়ুয়া ১০ হাজার শিশু খাবার পাবে। আর সেটা তারা দেবে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডিব্লউএফএ) মাধ্যমে।

এমন একটি উদ্যোগের অংশ হেতে পেরে ভীষণ গর্ববোধ করছেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। তিনি বলেছেন, ‘এমন একটি ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত। হাজার শিশুর জীবন পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে এটা। আমি আশা করছি, এটা অনেকের মুখে হাসি ফোটাবে।’

ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার তো এই উদ্যোগে জড়াতে পেরে নিজেকে সুখী মানুষদের একজন মনে করছেন। পিএসজি ফরোয়ার্ড বলেন, ‘শিশুরা যেন একবেলা খাবার পায়, আরও বেশি আশাবাদী হয়ে ওঠে, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা (লাতিন আমেরিকান) জানি, আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে দারুণ কিছু করি এবং এটা তারই উদাহরণ। আমরা একসঙ্গে ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।’

চলতি বছরের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে 'জানটোসসমোস১০' বা 'টুগেদার উই আর ১০' নামে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে উদ্যোগটির সূচনা করে মাস্টারকার্ড। আগ্রহী যে কেউ চাইলে এখানে দান করার সুযোগ পাবেন। সে জন্য টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে #JuntosSomos10 হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কিংবা মাস্টারকার্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দান করতে পারবেন।

প্রতিবার এই হ্যাশট্যাগটি ব্যবহারের বিনিময়ে একজন স্কুলপড়ুয়া শিশুকে খাবার দেবে মাস্টারকার্ড। আর যদি সরাসরি মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে এই দান করা হয়, তবে ১০ জনকে খাবার দেবে কোম্পানিটি। ইতোমধ্যেই তারা ৩ লাখ খাবার সরবরাহ করে ফেলেছে।

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।