নিজ গ্রামে ৩০০ জার্সি পাঠালেন সাদিও মানে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ২৫ মে ২০১৮

২০০২ সালে সাদিও মানের বয়স মাত্র দশ। ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগালের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল ১৯৯৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। নিশ্চয়ই তখন টিভিতে সেনেগালের খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেখেছেন। এবার নিজেই দেশকে তুলেছেন বিশ্বকাপে। কিন্তু তার আগে শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে লিভারপুলের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। নিজ গ্রামের মানুষরা যাতে লিভারপুল জার্সি পরে তাকে সমর্থন যোগাতে পারে এজন্য লিভারপুলের ৩০০ জার্সি উপহার পাঠিয়েছেন মানে।

সেনেগালের বামবালি গ্রামে খুব দরিদ্র ঘর থেকে উঠে আসা এক ফুটবলার সাদিও মানে। সেখানকার কষ্টটা খুব ভালোভাবেই বুঝেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। লিভারপুলের মেলউড অনুশীলন মাঠ থেকে সরাসরি চলে যান নিজ গ্রামে। সেখানে জার্সি দিয়েই আবার চলে আসেন লিভারপুলে। সাদিও মানে বলেন, ‘আমি গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য লিভারপুলের ৩০০ জার্সি পাঠিয়েছি যাতে তারা জার্সি পরে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে পারে। আমার পরিবার এখনো গ্রামে বাস করে এবং সবাই মিলে খেলা দেখবে। ফাইনালের দিন গ্রামের কেউ কাজ করবে না।’

মানের গ্রামে আরো অনেক ক্লাবের সমর্থকরা বিরাজমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না যে পুরো বিশ্বকেই আমাদের সমর্থন দিতে কেননা এখানে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরাও রয়েছে। হয়তো অনেকে মাদ্রিদ, এভারটন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থক থাকতে পারে। আমি আশা করবো ফাইনালের দিন অন্যান্য দলের সমর্থকরাও আমাদের পাশে থাকবে।’

বিশ্বকাপের পরেই আবার নিজ গ্রাম বামবালিতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মানে। তবে ফাইনালের বিজয়ী মেডেল নিয়েই ফেরার আশা ব্যক্ত করেছেন। ‘আমি বিশ্বকাপের পর আবার দেশে ফিরবো। আশা করছি বিজয়ী দলের মেডেল নিয়েই ফিরতে পারবো।’

আরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।