নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চায় ক্রোয়েশিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ১৩ মে ২০১৮

ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। ডেভর সুকারের ক্রোয়েশিয়া সেবার জার্মানির মতো দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয়ও হয়েছিলো তারা।

তবে সেই বিশ্বকাপের পর আর তেমন কোন চমক দেখাতে পারেনি ক্রোয়াটরা। ২০০২, ২০০৬ এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে তারা। আর ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে তো বাছাইপর্বই পেরুতে পারেনি ক্রোয়াটরা।

এ কারণে ক্রোয়েশিয়ার বর্তমান কোচ জ্লাতকো দালিচ মনে করেন পূর্বের সাফল্যের কথা ভুলে গিয়ে এবার সব নতুন করে শুরু করা উচিৎ। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলের কাছে বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যের কথা জানান দালিচ।

তিনি বলেন, ‘আমার ভালো-খারাপ দুই দিক নিয়েই বলা উচিৎ। ক্রোয়েশিয়া ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপের পর আর ভালো করেনি; কিন্ত আমাদের যে দল প্রতিবার ছিলো তা নিয়ে ভালো করা উচিৎ ছিলো। বর্তমানেও আমাদের ভালো একটা প্রজন্ম রয়েছে। সামনের বিশ্বকাপে এদের সবাইকে নিয়ে আমাদের সেরাটাই উপহার দিতে হবে।’

ক্রোয়েশিয়ার তিনজন খেলোয়াড় এবার ইউরোপের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ এবং লিভারপুলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। এদের মধ্যে লিভারপুলের হয়ে মাঠে নামবেন দেজান লভরেন এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নামবেন লুকা মদ্রিচ এবং মাতেও কোভাচিচ। তাদের নিয়ে উচ্ছ্বাস ঝড়ে পড়েছে দালিচের কণ্ঠে।

‘আমি খুবই গর্বিত যে ক্রোয়েশিয়ার তিনজন খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলছে, যা আমাদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখে। আশা করি তারা ক্লান্ত হবে না এবং সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আর প্রত্যয় নিয়েই রাশিয়ায় আসবে’- বলছেন দালিচ।

এছাড়া দালিচ বার্সেলোনার ইভান রাকিটিচ, ইন্টার মিলানের ইভান পেরিসিচ এবং মার্সেলো ব্রোজোভিচ, এসি মিলানের নিকোলা কালিনিচ এবং জুভেন্টাসের মারিও মানজুকিচের প্রশংসাও করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়ায় তিনি তার বিশ্বস্ত মুখগুলোর প্রতিই আস্থা রাখবেন নতুন কোনো চমক দলে না রেখে।

‘এই সপ্তাহে আমরা বড় একটি স্কোয়াড বানাবো এবং সেখান থেকে যারা গত দুই-তিন বছরে জাতীয় দলে নিয়মিত ছিল তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত স্কোয়াড নিশ্চিত করবো। দলে কোনো বড় চমক থাকছে না। আমাদের দারুণ সব খেলোয়াড় রয়েছে এবং আমাদের এই দারুণ প্রজন্মটির ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমাদের একঝাঁক তরুণ ফুটবলারও রয়েছে, যারা ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের ভবিষ্যৎ; কিন্তু আমরা তাদের উয়েফা নেশনস লিগে খেলানোর কথা ভাবছি। এটা তাদের জন্যেও নতুন এক অভিজ্ঞতা হবে।’

রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ ডি-তে ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া এবং আইসল্যান্ড। নিজের গ্রুপ নিয়ে নিয়ে দালিচ বেশ রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলি, কঠিন ম্যাচ এবং কঠিন প্রতিপক্ষ চাই খেলার জন্য। কারণ এতে আমাদের উন্নতি করার সুযোগ থাকবে এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ থাকবে। আমরা দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না। সম্ভবত, এটা আমার ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা; কিন্ত এটা ছাড়া আমার আর উপায়ও নেই।’

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।