মার্সেলোর স্বীকারোক্তি : ওটা পেনাল্টি ছিল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৮ পিএম, ০২ মে ২০১৮

ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ২-২ গোলে ড্র করেছে। তবুও এই ড্রয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নাম লিখে ফেলেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। যদিও একেবারে খাদের কিনারে ছিল রিয়াল। বায়ার্ন মিউনিখ যদি আর একটি গোল দিতে পারতো, তাতেও বিদায় নিতে পারতো রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ, তখন দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল আর বায়ার্নের গোল সমান হয়ে গেলো, রিয়ালের মাঠে এসে একটি গোল বেশি দেয়ার সুবিধা নিয়ে ফাইনালে উঠে যেতে পারতো জার্মানির ক্লাবটি।

সেই সুযোগ পেয়েছিলও বায়ার্ন মিউনিখ। বলতে গেলে, চরম দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে ভাবারিয়ানরা। একে তো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলরক্ষকের এক অমার্জনীয় ভুলের কারণে গোল হজম করতে হয়েছিল বায়ার্নকে। তারওপর, প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে এসে একটি নিশ্চিত পেনাল্টি বায়ার্নকে দিল না রেফারি।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে নিজেদের ডি-বক্সের ওপরই জশুয়া কিমিচের একটি শর্ট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো। বলটি মূলতঃ হাত দিয়েই ঠেকিয়েছিলেন মার্সেলো। কিমিচসহ বায়ার্ন ফুটবলাররা রেফারির কাছে পেনাল্টির জোরালো দাবিও তুলেছিলেন। তবে তুর্কি রেফারি কুনিত ক্যাকির পেনাল্টি না দিয়ে কর্নারের বাঁশি বাজান।

Marcelo1ওই সময় যদি বায়ার্ন পেনাল্টিটা পেয়ে যেতো, তাহলে ম্যাচের পুরো চিত্রই পাল্টে যেতো। ওই সময় বায়ার্নের অন্তত দুটি গোল প্রয়োজন ছিল। কিন্তু একটি মাত্র গোল করতে সক্ষম হয় বায়ার্ন। গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকেই যাওয়া হামেশ রদ্রিগেজ।

ম্যাচ শেষে নিজে থেকেই মার্সেলো স্বীকার করেন, ‘ওটা সত্যিই ছিল হ্যান্ডবল। ওই শটটি আমার হাতেই আঘাত করেছিল। আমি নিজেও মনে করি, ওটা ছিল পেনাল্টি। যদি আমি এখন বলি যে, ওটা হ্যান্ডবল ছিল না, তাহলে তা মিথ্যা বলা হবে। তবে ফুটবল তো এমনই (কিছু ভুল হবে, কিছু শুদ্ধ হবে)।

রেফারি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মার্সেলো বলেন, ‘আমি রেফারিং নিয়ে কিছুই বলবো না। তবে, এমনও অনেক সময় আসে যখন রেফারির সিদ্ধান্তগুলো আপনার পক্ষে এসে যাবে। আবার কখনও কখনও আপনার বিপক্ষেও যেতে পারে। যাই ঘটুক না কেন, আপনাকে ফুটবল খেলতেই হবে।’

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।