বায়ার্নও পাত্তা পেল না রিয়ালের কাছে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৪ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

নক আউট রাউন্ডে বায়ার্নের বিপক্ষে ৮ বারের দেখায় ৫ বারই শেষ হাসি হেসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই সংখ্যাটা ছয়ে নিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্নের ঘরের মাঠে এলিয়েঞ্জ এরিনায় বায়ার্নের মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ। বাভারিয়ানদের কোনো ছাড় না দিয়েই মার্সেলো ও আসেনসিওর লক্ষ্যভেদে ১-২ গোলের স্বস্তি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গেল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজি, জুভেন্টাসের পর ইউরোপের আরেক বড় দল বায়ার্ন মিউনিখকেও পরাজয়ের স্বাদ দিল জিদানের দল।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বায়ার্ন। কার্ভাহালের ভুলে লেভেন্ডোস্কির পায়ে যায় বল। সেখানে থেকে এই পোলিশ স্ট্রাইকারের ক্রস ডিবক্সে থাকা মুলারের সামান্য কাছ দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের দশ মিনিটেই বায়ার্নের জন্য ধাক্কা হিসেবে আসে রোবেনের ইনজুরি। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন থিয়াগো আলকান্তারা।

b

২৪ মিনিটে ডিবক্সের সামান্য ভেতর থেকে কার্ভাহালের বুলেট গতির শট তালুবন্ধী করেন বায়ার্ন গোলকিপার ইউলরিচ। ২৮ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে গোলের খাতা খোলেন জার্মান রাইট ব্যাক জশুয়া কিমিচ। মাঝমাঠ থেকে হামেশ রড্রিগেজের বাড়ানো বল থেকে ডান পাশ দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ডিবক্সে ঢুকে মুলার-লেভেন্ডোস্কিদের উদ্দেশ্যে ক্রস না দিয়ে নিজেই গোলমুখে শট নেন। ফলে রিয়াল গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান বায়ার্নের ২৩ বছর বয়সী এই রাইট ব্যাক।

৩৬ মিনিটে বোয়েটেং ইনজুরিত পড়লে আবারো খেলোয়াড় বদল করতে বাধ্য হয় বায়ার্ন। ম্যাচের অর্ধেক না যেতেই দুইটা খেলোয়াড় পরিবর্তন করে মনস্তাত্বিক দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে হেইঙ্কেসের দল। সেই সুযোগে প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ডিবক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার অসাধারণ শটে গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান মার্সেলো। পিএসজি, জুভেন্টাসের পর বায়ার্নের বিপক্ষেও গোল করলেন এই ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাক।

b

বিরতির পরপরি ইস্কোর পরিবর্তে আসেনসিওকে মাঠে নামান কোচ জিনেদিন জিদান। আর তাতেই বাজিমাত করে ফেলে রিয়াল। ৫৭ মিনিটে কাউন্টার এটাক থেকে ভাস্কুয়েজের কাছ থেকে বল পেয়েই গোল করেন আসেনসিও। দুইটি অ্যাওয়ে গোল দিয়ে অনেকটা নির্ভার হয়ে খেলতে থাকে রিয়াল সেই সাথে ডিফেন্সটাও বেশ পোক্ত করে নেয় জিদানশিষ্যরা। ৬৯ মিনিটে রিবেরির শট গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় বাভারিয়ানরা।

৮৮ মিনিটে আবারো গোলমুখে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন লেভেন্ডোস্কি। ১-২ গোলের হার নিয়েই ম্যাচ শেষ করে বায়ার্ন। পুরো ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন রোনালদো। বলার মতো তেমন কোনো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি তিনি। ১১ ম্যাচ পর গোল বঞ্চিত থাকতে হলো তাকে। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাঠে নামবে রিয়াল। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার পথে জিনেদিন জিদানের দল।

আরআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।