এফ এ কাপের ফাইনালে চেলসি
গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী দলটিই এবার যেন নিজেদের খুঁজে ফিরছে সবখানে। বলছি চেলসির কথা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই আর প্রিমিয়ার লিগে তো শীর্ষ চারেই ঢুকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমন বাজে মৌসুমেও আশার আলো হয়ে দেখা দিল চেলসির এফ এ কাপের ফাইনালে ওঠা। সেমিতে সাউদাম্পটনকে ২-০ গোলে হারালো অ্যান্তনিও কন্তের দল। ফলে এই নিয়ে টানা দুই বছর এফ এ কাপের ফাইনালে উঠলো তারা। গতবছরও ইংলিশ লিগ কাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকে মাঝারি সারির দল সাউদাম্পটনের উপর দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে হ্যাজার্ড-জিরুডরা। সেমিতে মুখোমুখি হওয়ার আগে লিগের ম্যাচে সাউদাম্পটনের বিপক্ষেই ৩-২ গোলের জয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল ব্লুজরা। ৭ মিনিটেই উইলিয়ানের দুর্দান্ত শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় চেলসি। ২৫ মিনিটে অস্টিনের শট রুখে দেন চেলসির আর্জেন্টাইন গোলকিপার কাবালেরো।
কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে চেলসিকে অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। বিরতি থেকে ফিরেই হ্যাজার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে তিনজনকে কাঁটিয়ে অসাধারণ এক গোলে চেলসিকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন আর্সেনাল থেকে ধারে খেলতে আসা জিরুড। এফ এ কাপের ২৬ ম্যাচে ১৫ গোল করে বুঝিয়ে দিলেন এই টুর্নামেন্ট তিনি অন্যদের থেকে কম যান না। ৭৩ মিনিটে নিশ্চিত গোল খাওয়ার হাত থেকে চেলসিকে বাঁচান কাবালেরো। রেডমন্ডের শট কোনমতে বাইরে ঠেলে কর্ণারের বিনিময়ে এ যাত্রায় চেলসিকে রক্ষা করেন তিনি।
৮২ মিনিটে জিরুডের বদলি হিসেবে নামার কয়েক সেকেন্ডের ভেতরেই চেলসিকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন আলভারো মোরাতা। ৮৩ মিনিটে অস্টিনের শট বারে লেগে ফিরে আসলে সেটি কেবল হতাশাই বাড়ায় সাউদাম্পটনের। ২-০ গোলের জয়ে ওয়েম্বলির নতুন স্টেডিয়ামে ৬ বার এফ এ কাপের ফাইনালে উঠলো চেলসি। ১৯ মে ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আরআর/