ক্ষমা চাইলেন ফুটবলার মতিন মিয়া
অসুস্থতার ভান করে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে খেপ খেলার অপরাধে মতিন মিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দেশের স্বার্থবিরোধী কাজের জন্য কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে মতিন মিয়াকে কারণ দর্শাও চিঠিও দিয়েছিল বাফুফে। মতিন মিয়া ইতিমধ্যে কারণ দর্শানো চিঠির জবাব দিয়ে ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না বলে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এ ফরোয়ার্ড প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডেকেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড; কিন্তু খেপের লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে চলে গিয়ে নিজ এলাকায় হরদম খেপ খেলেন তিনি।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় মতিনের খেপ খেলায় কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডও ক্ষুব্ধ। তিনি মতিনের খেপ খেলার কিছু প্রমানাদি জমা দিয়ে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখতে বলেন বাফুফেকে। বাফুফেকের কাছেও আছে মতিনের এহেন কর্মকান্ডের প্রমাণ। আগামীতে কোনো ফুটবলার যাতে এমন কাজ করতে সাহস না পান সে জন্য বাফুফে মতিন মিয়াকে কঠিন শাস্তি দেয়ার কথা ভাবছে। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফুটবলে নিষিদ্ধ হতে পারেন আলোচিত এ ফুটবলার।
মতিন মিয়া প্রকৃতপক্ষে ‘খেপমাস্টার’। এক সময়ে রং মিস্ত্রি ছিলেন সিলেটের এ তরুণ। তাকে ঢাকার ফুটবলে নিয়ে আসে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব; কিন্তু এবার প্রিমিয়ার লিগের পর মতিন সবাইকে অবাক করে দাম হাঁকান ৭০ লাখ টাকা। যদিও মৌসুমে বেশির ম্যাচেই তিনি ছিলেন সাইড বেঞ্চ।
আরআই/আইএইচএস/পিআর