এত মানুষ আমার জন্য বিশ্বকাপ চায়, গর্ব লাগে : মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮

এত কাছে তবু যেন দূরে! আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্নটা অধরা ৩২ বছর ধরে। সেই ১৯৮৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এরপর প্রতিবারই ফেবারিটের তকমা গায়ে চড়িয়ে ব্যর্থতা।

গতবার ফাইনালে হারের পর দলটির সেরা তারকা লিওনেল মেসি তো অবসরই নিয়ে নিয়েছিলেন। ভক্ত-সমর্থকদের অনুরোধের মুখে অবসর ভেঙে আরেকটি বিশ্বকাপে পা রাখছেন ফুটবল জাদুকর। সমর্থকদের এই ভালোবাসায় ভীষণ অভিভূত আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।

দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি বিশ্বকাপ। রাশিয়ায় মূল লড়াইয়ে নামার আগে ইতালি আর স্পেনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এই দুই ম্যাচের আগে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক তাদের ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাই জানালেন।

প্রীতি ম্যাচের আগে এক সাক্ষাতকারে মেসি বলেছেন, ‘আমি সব জায়গায় দেখি, কত মানুষ আমার জন্য ভালো একটি বিশ্বকাপ চায়। তাদের সবার মনের মধ্যে একটাই আশা, আমি যেন বিশ্বকাপ জিতি। সত্যিই এটা ভীষণ নাড়া দেয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তারা আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন এবং আমার হাতে এটা (বিশ্বকাপ) দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। আসলেই মনে লাগার মতো একটা ব্যাপার।’

গুঞ্জন আছে, এবার বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলে চূড়ান্ত অবসরটা নিয়েই ফেলবেন মেসি। কথাটা কি সত্যি? মেসি মনে করছেন, শুধু তিনি নন, অনেকেই বিশ্বকাপ শেষে বিদায় বলে দিতে পারেন, ‘আমরা শেষবারের মতো একসঙ্গে খেলছি, এমন একটা অনুভূতি তো আছেই। মনে হয়, তিনবার ফাইনাল খেলা কোনো কাজেই আসেনি। অবশ্যই, ফলাফলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে।’

গত কয়েক বছরে তিনবার (একবার বিশ্বকাপ, দুইবার কোপা আমেরিকা) বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পরও ট্রফি জেতা হয়নি। পুরো দলের মাথায়ই এটা আছে, জানিয়ে মেসি বলেন, ’সবার মনের মধ্যে এই ভাবনাটা আছে? সত্যি। আমরা তিনবার ফাইনাল খেলেছি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে জিততে পারিনি। আমাদের নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। তারা ভাবে না, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাছে চলে গিয়েছিলাম। (তারা ভাবে) আমাদের আরেকটি সুযোগ নেই। যদি তাই হয়, তবে তারা জাতীয় দলের সবাইকেই অবসর নিতে বলবে।’

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।