হকিংকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ভক্তদের রোষানলে নেইমার
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো বিশ্ব। এই শোক ছুঁয়ে গেছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সুপারস্টার নেইমারকেও। তবে হকিংকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে উল্টো বিপদে পড়লেন পিএসজি তারকা। তার শ্রদ্ধা জানানোর ধরণটা যে একদমই পছন্দ হবার মতো ছিল না!
'আ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম' বা সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বই লিখে বিজ্ঞানে নতুন এক ধারণার সূচনা করেছেন হকিং। বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী বুধবার ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজে নিজ বাড়িতে ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
হকিংয়ের জীবনটা সম্পর্কে কম বেশি সবাই অবগত। মাত্র ২২ বছর বয়সে বিরল রোগ মোটর নিউরনে আক্রান্ত হয়ে জীবনের বাকি সময়টায় হুইলচেয়ারে বসেই কাটিয়ে দিতে হয়েছে। চলাফেরার করার মতো অবস্থা তার ছিল না।
এদিকে, পায়ের অস্ত্রোপচার শেষে এখন পুনর্বাসনে আছেন নেইমার। তারও বেশিরভাগ সময় কাটছে হুইলচেয়ারে। হকিংয়ের মৃত্যুর পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে নিজের একটি ছবি ব্যবহার করেন নেইমার। যাতে দেখা যায়, তিনি হুইলচেয়ারে বসে আছেন। নিচে ক্যাপশনে হকিংয়ের বিখ্যাত বাণী,
‘মানুষ যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে নিজের সামর্থ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার করা উচিত।’
নেইমার হয়তো হতাশা কাটাতেই হকিংকে প্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন। ছবিতে দেখা যায়, হুইলচেয়ারে বসা নেইমার একদিকে চেয়ে হাসছেন। খালি গায়ে তার ট্যাটু করা শরীরটাও স্পষ্ট।
একজন বিশ্বনন্দিত পদার্থ বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানানোয় এমন একটি ছবি খুব ভালোভাবে নেননি টুইটার ব্যবহারকারীরা। তারা রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন নেইমারকে।
নেইমারের এই ছবির নিচে একজন কমেন্ট করেছেন, ‘সে তার ভাঙা পা থেকে সেরে উঠার বিষয়টি প্রচার করার জন্য স্টিভেন হকিংয়ের মৃত্যু এবং তার অক্ষমতাকে পুঁজি করেছে। ন্যাক্কারজনক!’ একজন লিখেছেন, ‘নেইমার আর প্রিয় ফুটবলার রইল না।’
অনেকেই নেইমারের নীতি-নৈতিকতা কিংবা সহানুভূতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ তো অভিশাপও দিয়েছেন পিএসজি সুপারস্টারকে। শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কি বিপদেই না পড়লেন!
এমএমআর/জেআইএম