তৃতীয় সন্তানের মুখ দেখতে মালাগার বিপক্ষে নেই মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮

এখনও পর্যন্ত লা লিগায় ২৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে তারা এগিযে ৮ পয়েন্ট। লা রোজালেদায় আজ স্বাগতিক মালাগাকে হারাতে পারলে সে ব্যবধান গিয়ে দাঁড়াবে ১১ পয়েন্টে। লিগের এই ২৭ ম্যাচে লিওনেল মেসিই একমাত্র ফুটবলার, যিনি একটি ম্যাচও মিস করেননি। সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন তিনি। লিগে গোল করেছেন মোট ২৪টি।

২৭ ম্যাচের কোনটিই তিনি নিষেধাজ্ঞা, কার্ড কিংবা ইনজুরির কারণে মিস করেননি। এতটাই ফেয়ার প্লে ছিল মেসির যে কোনো ম্যাচ থেকেই তাকে বিরত রাখা যায়নি; কিন্তু লা লিগায় টানা খেলায় এবার বিরতি দিতেই হচ্ছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে। মালাগার বিপক্ষে ম্যাচে শেষ মুহূর্তে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিলেন মেসি। বার্সা ক্লাব কর্তৃপক্ষই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য। তার পরিবর্তে বার্সা স্কোয়াডে নেয়া হয়েছে ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনাকে।

কী এমন ব্যক্তিগত কারণ মেসির! যে কারণে তিনি নিজেকে কোনো ম্যাচ থেকে সরিয়ে রাখতে পারেন! মেসির চরিত্রের সঙ্গে তো এমনটা মেলে না কোনোভাবেই! কারণ খুঁজতে গিয়ে স্প্যানিশ মিডিয়া খুঁজে পেলো দারুণ এক তথ্য। মেসি তৃতীয় সন্তানের জনক হতে যাচ্ছেন- এটা পুরনো খবর। এবার সেই সন্তানই পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায়।

স্ত্রী আনতোনেল্লা রোকুজ্জো তৃতীয় সন্তান (ছেলে) সিরোর জন্ম দেবেন আজ-কালের মধ্যেই। এই সময়টাতে স্ত্রীর পাশে থাকার জন্যই মূলতঃ মেসি মালাগার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। ক্লাবের কাছে নিজের এই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন মেসি। সে আলোকেই শেষ মুহূর্তে তাকে ছুটি দেয়া হয়।

মঙ্গলবারই চেলসির বিপক্ষে লা লিগার ফিরতি পর্বের ম্যাচে নিজেদের মাঠে নামছে বার্সা। প্রথম লেগে চেলসির মাঠে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র করে এসেছিল বার্সা। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ফিরতি পর্বে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির মুখোমুখি হচ্ছে কাতালানরা। ওই ম্যাচে মেসির খেলাটা জরুরি। কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের ইচ্ছা, মেসিকে কোনোভাবেই যেন মিস না করেন তিনি।

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।