‘বিশ্বকাপে ইতালির না থাকা একটি মধুর আঘাত!’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৮

৬০ বছর পর চারবারের বিশ্বকাপজয়ী ইতালি নেই এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে। রংধনুর সাত রঙের মধ্য থেকে খসে পড়েছে নীল রঙ। রাশিয়ার স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে এবার আর নীল ঢেউ উঠবে না। জগদ্বিখ্যাত 'কাতানেচ্চিও' ডিফেন্সের দেয়ালও দেখা যাবে না এই বিশ্বকাপে। বাছাই পর্ব থেকেই যে ২০০৬ বিশ্বজয়ীদের বাদ পড়তে হয়েছে! সরাসরি বাছাই তো দুরে থাক, প্লে-অফের মাধ্যমেও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে আসতে পারলো না জিয়ানলুইজি বুফনের দেশ। প্লে-অফে তারা হেরেছে সুইডেনের কাছে।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ইতালির অনুপস্থিতিতে প্রকৃত ফুটবলভক্তদের মন খারাপ। কারণ, দ্রুপদি ফুটবল লড়াইকে যে ক'টি দেশ জমিয়ে তুলতে পারে, তাদের মধ্যে তো অন্যতম ইতালি। যারা বিশ্বকাপে খেলতেই আসে ফেবারিটের তকমা গায়ে মেখে। সেই দেশটিই কি না নেই এবারের বিশ্বকাপে! বিশ্বাস হয় না এখনও ইতালি ভক্তদের। বিশ্বাস করতে চায় না ফুটবল ভক্তরা। এই দলে রয়েছেন যেন খোদ ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।

ফিফা প্রেসিডেন্ট ইতালির না থাকাকে অভিহিত করলেন, 'মধুর আঘাত' বলে। ১৯৫৮ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেনি ইতালি। এরপর থেকে গত ৬০ বছরে টানা সব ক'টি বিশ্বকাপে খেলেছে তারা। এবারের বিশ্বকাপ কেন খেলতে পারেনি ইতালি, এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতালি ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফ্যান্তিনো মনে করেন, ইতালির জন্য হয়তো এটা ভালোই হয়েছে। তারা নিজেদের পুনর্গঠনে এখনও আরও বেশি মনযোগি হবে।

ইতালির স্পোর্ট মিডিয়াসেটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইনফ্যান্তিনো বলেন, 'ইতালিকেছাড়া বিশ্বকাপ? এটা এখন খুবই সত্য কথা যে, ইতালি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এটা আসলে একটা বড় মধুর আঘাত। এটা নিয়ে অবশ্যই তাদেরকে অনেক কঠিন কাজ করে যেতে হবে। বের করতে হবে, কী সমস্যা ছিল। নতুন করে শুরু করতে হলে কী কী প্রয়োজন, সেগুলোও খুঁজে বের করবে তারা।'

কিভাবে নতুন করে সংস্কার শুরু করা যায় সে গাইডলাইনটাও যেন দিয়ে দিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, 'ইতালিতে ফুটবল নিয়ে তাদের দারুণ আবেগ রয়েছে। প্রতিভা আছে। অনুশীলন রয়েছে নিয়মিত। পর্যাপ্ত অবকাঠামোও আছে। সুতরাং, এই সময় তাদেরকে এখন নতুন করে সব কিছু শুরু করতে হবে। ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গাগুলো সব দুরে সরিয়ে রাখতে হবে। পূনরায় উঠে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই এখন সবাইকে সংস্কারে মনযোগি হতে হবে। তবেই সম্ভব ইতালি ফুটবলে পূনর্জাগরণ।'

ইতালির শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে ইনফ্যান্তিনো বলেন, 'আজ্জুরিদের এই জার্সি ব্শ্বিকাপে না থাকার কারণে শুধু ইতালিয়ানদেরই নয়, সারা বিশ্বের ফুটবল সমর্থকদের দুঃখ দিয়েছে, কষ্ট দিয়েছে। এই জার্সি তো বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই থাকার কথা। ইতালি ফুটবলে উপযুক্ত ব্যক্তি রয়েছে। তারা পারবে এই সংস্কার কাজে নেতৃত্ব দিতে। একই সঙ্গে ফিফাকে প্রয়োজন রয়েছে তাদের। আমরাও প্রস্তুত রয়েছি তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য। বিশ্বকাপের জন্যই ইতালির শক্তিশালী হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।