সাবিনা-কৃষ্ণার অপেক্ষায় ভারতীয় ক্লাব

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কবে ছাড়পত্র পাবেন, কবে টিকিট পাঠাবেন এবং কবেই বা ক্যাম্পে যোগ দেবেন সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী সরকার তা নিয়ে ফোনের অন্য প্রান্তে দুশ্চিন্তাগ্রস্থই মনে হলো সিনি মোহাইদিনিকে। ভারতের তামিলনাড়ুর ক্লাব সেথু এফসির সভাপতি দিন গুণছেন কবে তাদের ক্যাম্পে যোগ দেবেন বাংলাদেশের এ দুই নারী ফুটবলার। সাবিনা-কৃষ্ণাকে নিয়েই যে দল চূড়ান্ত করেছেন তিনি!

প্রথম বাংলাদেশি নারী ফুটবলার হিসেবে জাতীয় ও যুব দলের অধিনায়ক খেলবেন ভারতের ঘরোয়া ফুটবলে। সব কিছুই নিশ্চিত। ২৫ মার্চ শুরু হবে ভারতের উইমেন্স লিগ। সেখানে সাবিনা-কৃষ্ণা খেলবেন সেথু এএফসিতে। তারপরও বাফুফে থেকে এখনো দুই খেলোয়াড়ের ছাড়পত্র না পাওয়ায় একটু টেনশনে তামিলনাড়ু ভিত্তিক ক্লাবটির সভাপতি।

‘আমাদের সব কিছু ঠিকঠাক। আমরা চাই ৮ মার্চ সাবিনা ও কৃষ্ণা ক্যাম্পে যোগ দিক; কিন্তু বাফুফের ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এয়ার টিকিট পাঠাতে পারছি না’-তামিলনাড়ু থেকে জাগো নিউজকে বলছিলেন সেথু এফসির সভাপতি সিনি মোহাইদিনি।

বাংলাদেশের অন্য দুই সেরা নারী ফুটবলার সাবিনা ও কৃষ্ণাও মুখিয়ে আছেন ভারতের ক্লাবে যোগ দিতে। ছাড়পত্রের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই আমরা ওদের ছাড়পত্র দিয়ে দেবো।’

ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক এই লিগে অংশ নেবে ৭টি দল। এর মধ্যে ৫ দল উঠেছে বাছাই পর্ব পার হয়ে। ১৩ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বে খেলেছিল সাবিনা-কৃষ্ণাদের ক্লাবও। এ দলটি এই প্রথম খেলছে ভারতের জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলে। প্রতিটি ক্লাব ২ জন করে বিদেশি ফুটবলার রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে। সেথু এফসি বিদেশি কোটা পূরণ করছে বাংলাদেশের এ দুই ফুটবলারকে নিয়ে।

সাবিনা খাতুনের জন্য বিদেশে খেলা নতুন নয়। বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন বিদেশে। দুই দুইবার মালদ্বীপে ঘরোয়া আসরে খেলে কাঁপিয়েছেন প্রতিপক্ষের জাল। সেখানে গোল করেছেন মুড়িমুড়কির মতো। এবার ভারতে তার সঙ্গী হচ্ছেন জাতীয় দলের আরেক ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়কের জন্য হবে এটা নতুন অভিজ্ঞতা।

আরআই/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।