ভাইকে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর উপায় বলে দিলেন রোনালদোর বোন
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সময়টা ভালো যাচ্ছে না, সময় খারাপ যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। সমালোচকরা তাই পেয়ে বসেছেন পর্তুগিজ যুবরাজকে। এমনটা হয়ই। ভাইকে তাই মাথা ঠান্ডা রাখতে বললেন রোনালদোর বোন কাতিয়া আভেইরো। আবারও ভালো খেললে এই সমালোচকরাই তাকে মাথায় নিয়ে নাচবে, মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
চারদিক থেকে যখন সমালোচনা, তখন ভাইকে আত্মবিশ্বাস জোগানোর কাজটা করলেন বোন আভেইরো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে রিয়াল তারকাকে সমালোচকদের কথায় কান না দেয়ারই পরামর্শ দিলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে আভেইরো লিখেছেন, 'ক্রিশ্চিয়ানো আমি তোমাকে যা বলতে চাই শোনো। যখন তোমার ১২ বছর বয়স, চোখে রাশি রাশি জল আর আশা নিয়ে লিসবন পৌঁছেছিলে। তুমি বলেছিলে, তুমি মাদেইরার সন্তান। পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তুমি প্রথম দল স্পোটিংয়ে খেলেছিলে। তারা বলেছিল তুমি অস্বাভাবিক স্কিল সম্পন্ন। কয়েক মাস পরই তোমার সঙ্গে চুক্তি করলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।'
এরপর আভেইরো ভাই রোনালদোর ক্যারিয়ারের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, 'যখন তুমি ইংল্যান্ডে গেলে, তারা বলল তোমাকে ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যাবে। কিন্তু ছয় মৌসুমে তুমি ১১৮ গোল করলে। যখন রিয়াল মাদ্রিদ তোমাকে কেনে। তারা বলেছিল, তোমার নামটা কেবল শার্ট বিক্রির কাজে লাগবে। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকে ৪১৮ ম্যাচে তুমি ইতোমধ্যেই ৪২২টি গোল করেছো। ক্লাবের সব রেকর্ডেই তোমার হয়ে গেছে।'
এরপর রোনালদোর ব্যালন ডি'অর জয় আর দেশের হয়ে খেলা নিয়ে আভেইরো লিখেছেন, '২০০৮ সালে তুমি প্রথম ব্যালন ডি'অর জিতলে। তারা বলেছি, তুমি এই একটাই জিতবে। কিন্তু তুমি এরপর আরও চারটি জিতলে। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে তোমাকে নিয়ে বলা হতো, তোমার মধ্যে সেই দলকে জাগানো, নেতৃত্বের উদ্যমটা নেই। অথচ ২০১৬ সালে তুমি প্রথম পর্তুগিজ হিসেবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলে।'
এরপরই সমালোচকদের আসল জবাবটা দিয়েছেন আভেইরো। রোনালদোর বোন ভাইকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, 'এখন তুমি দুই কিংবা তিনটি ম্যাচে এলিয়েনের মতো গোল করতে পারছো না বলে তারা বলতে শুরু করেছে, ক্যারিয়ার শেষের পথে। ক্যারিয়ারটা নাকি প্রায় শেষ তোমার। চিন্তা করো না। যখন তুমি হাতে একটি ট্রফি নিয়ে আইফেল টাওয়ারের উপর দাঁড়াবে, যখন তুমি দলকে জেতানোর মতো একটি গোল করবে কিংবা আরেকটি রেকর্ড করবে; দেখবে তারাই সেটা দেখছে। প্রশংসাও করছে। কারণ তাদের কাছে এটাই বাকি আছে।'
এমএমআর/আইআই