‘খেলিয়ে খেলিয়ে তো আমরা ফুটবলারদের মেরে ফেলছি’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৮

চাহিদার কথা ভেবে একের পর এক ম্যাচ রাখা হচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বিরতিটা খুব কম। খেলোয়াড়রাও তাই ঘন ঘন চোটে পড়ছে। সর্বশেষ দলের ব্র্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস ছয় সপ্তাহের জন্য ছিটকে পড়ায় লিগের ফিকশ্চার নিয়ে ভীষণ ক্ষেপেছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। এভাবে ফুটবলারদের মেরে ফেলা হচ্ছে বলেই মনে করছেন তিনি।

রোববার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গোলশুন্য ড্রয়ের ম্যাচে হাঁটুর চোটে পড়েছেন জেসুস। ওয়াটফোর্ডে মঙ্গলবার ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের পর গার্দিওলা জেসুসের চোট নিয়ে জানালেন, 'গ্যাব্রিয়েল চার থেকে ছয় সপ্তাহরে জন্য ছিটকে পড়েছে। সম্ভবত আরও বেশি সময়ও হতে পারে। আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব ফিরবে।'

ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ট্যাকেলে আরেকটু হলে বড় চোটে পড়তে যাচ্ছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। মঙ্গলবারের ম্যাচের পর কিছুটা চোটাক্রান্ত মনে হয়েছে কাইল ওয়াকারকেও।

রোববারের পর মঙ্গলবার। দুইদিনের মধ্যে দুই ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী মনে করছেন গার্দিওলা। ক্ষুব্ধ কন্ঠে তিনি বলেন, 'সবাই দেখেছে, গত সপ্তাহে কতজন খেলোয়াড় চোটে পড়েছে। আমরা তো তাদের মেরে ফেলছি। ফেডারেশনের প্রধানদের বিষয়টা দেখতে হবে। ৩১ তারিখের দুই দিনের মধ্যে আবারও খেলা তো কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়।'

মানুষ ফুটবলারদের দেখতেই মাঠে আসে, তারা সুস্থ না থাকলে কিভাবে চলবে? প্রশ্ন গার্দিওলার, 'আমি জানি খেলাটা চালিয়ে যাওয়া উচিত। তবে আমাদের অবশ্যই এটাতে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। তারা খেলোয়াড়দের সুরক্ষার কথা ভাবছেন না। মানুষ কিন্তু ম্যানেজার কিংবা সংবাদ সম্মেলন দেখতে আসে না, আসে খেলোয়াড়দের দেখতে।'

ইংলিশ লিগে সেই খেলোয়াড়দের একেবারেই যত্ন নেয়া হচ্ছে না, অভিযোগ গার্দিওলার। তিনি বলেন, 'ইংল্যান্ডে খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখা হয় না। আপনি দুইদিন পর পর খেলতে পারেন না। ঐতিহ্য ঐতিহ্যই। কিন্তু আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে। খেলোয়াড়রা শিল্পী। তাদের জন্যই আমরা এখানে। আপনাকে অবশ্যই সংখ্যার চেয়ে মানের দিকে নজর দিতে হবে।'

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।