জয় দিয়ে বছর শেষ করলো আবাহনী-জামাল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

বছরের শেষ দিনটা জয়ে রাঙালো আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এ জয়ে দুই দলই দারুণভাবে টিকে থাকলো শিরোপা জয়ের সম্ভাবনায়। রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে এবং শেখ জামাল ৩-১ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে।

১৯ রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা তিন দল আবাহনী, শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ছিল ৪৫, ৪৪ ও ৪৩। রোববার জিতে আবাহনী যেমন শীর্ষস্থান (৪৮ পয়েন্ট) ধরে রেখেছে, তেমন শেখ জামালও (৪৭ পয়েন্ট) আছে দ্বিতীয় স্থানে।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়ন লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়লো চট্টগ্রাম আবাহনী (৪৩ পয়েন্ট)। শীর্ষে থাকা আবাহনীর সঙ্গে ৫ পয়েন্টের দূরত্ব হওয়ায় ট্রফি জেতা কঠিন এখন কঠিন হয়ে গেলো গতবারের রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনীর । চট্টলার দলটি নড়বড়ে অবস্থানে চলে যাওয়ায় প্রিমিয়ার লিগে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রায় শেষ।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে নাসির উদ্দিন ও রুবেল মিয়ার গোলে ১৫তম জয় পেয়েছে আবাহনী। ৩২ মিনিটে ইমন মাহমুদ বাবুর কর্নার থেকে নাসির উদ্দিন বাঁ পায়ে গোল করে এগিয়ে দেন আবাহনীকে। ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রুবেল মিয়া। গোলরক্ষক শহিদুল আলম সবুজের লম্বা কিক ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে।

এই জয়ে ৪৫ এর সঙ্গে ৩ যোগ করে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটা এককভাবেই ধরে রাখলো পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। হারে ব্রাদার্স ২০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়ে গেলো অবনমনের শঙ্কাতেই।

জিতলে তিন থেকে দুইয়ে উঠতে পারতো চট্টগ্রাম আবাহনী। তাতে শিরোপা জয়ের স্বপ্নও টিকে থাকতো চট্টলার দলটির। কিন্তু শেখ জামালের কাছে হেরে তাদের স্বপ্ন ঢেকে গেলো কালো মেঘে। ১৭ রাউন্ড পর্যন্ত শীর্ষে থাকা দলটি শিরোপা দৌঁড় থেকে পিছিয়ে পড়লো শেষ তিন ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হারিয়ে।

১১ মিনিটে রাফায়েলের গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। একটা সংঘবদ্ধ আক্রমণের ফল ছিল সাবেক চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে যাওয়া গোলটি। সলোমন কিংয়ের ডান দিকে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে আবার তাকেই ফেরত দিয়েছিলেন নুরুল আবসার।

সলোমন শট নিয়ে ফিরে আসে চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। ফিরতি বলে সুযোগ নষ্ট করেননি রাফায়েল। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সলোমন কিং।

২ গোলে পিছিয়ে যাওয়া চট্টলার দলটি ম্যাচে ফিরতে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে সফল হয় ৬২ মিনিটে। জাহিদ হোসেনের কর্নার থেকে গোল করে ব্যবধান কমান আলিসন। ৭৮ মিনিটে শেখ জামালের জাবেদ খান ব্যবধান ৩-১ করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সাইফুল বারী টিটুর দল।

এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করলো মাহবুব হোসেন রক্সির দল।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।