অবসর নিলেন রেফারি আজাদ রহমান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৭

তৃতীয় বিভাগের দল আদমজী ও মাতুয়াইলের ম্যাচ দিয়ে শুরু, শেষটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচ দিয়ে। মাঝে ১৬ বছর এক টানা রেফারি হিসেবে আজাদ রহমান ম্যাচ পরিচালনা করেছেন দেশ-বিদেশে। বুধবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন রেফারিং পেশাকে, বাঁশিটা আজীবনের জন্য তুলে রাখলেন।

বিদায় লগ্নে আজাদ রহমান পেলেন ফুটবল অঙ্গনের মানুষের ভালোবাসা। খেলোয়াড়, ক্লাব কর্মকর্তা, সহকর্মীরা তাকে বিদায় দিলেন ফুলেল শুভেচ্ছায়। এর মধ্যে দিয়ে বুধবার অবসান হলো বাংলাদেশ ফুটবলের এক সাহসী রেফারির অধ্যায়। বিদায়লগ্নে মাঠে উপস্থিত ছিলেন আজাদ রহমানের দুই কন্যা ফাইরুজ নাওয়া তরঙ্গ ও নুবাইদা আরস তটিনি এবং তার সহধর্মিনী।

বুধবার মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ থেকে বাঁশিটা তুলে রাখলেও এ ম্যাচ পরিচালনা করেননি তিনি। জীবনের শেষ বাঁশি বাজিয়েছেন গত ১৪ অক্টোবর মোহামেডান-ব্রাদার্স ম্যাচে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে তিনি শুধু দুই দলের অধিনায়ককে নিয়ে টসটিই করেছেন।

২০০১ সালে বাঁশি হাতে নিয়েছিলেন আজাদ রহমান। দেশে-বিদেশে আর ছোট-বড় মিলিয়ে ৩ হাজারের মতো ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন ঢাকার কুর্মিটোলায় বেড়ে ওঠা দেশের অভিজ্ঞ এ রেফারি। নতুনদের জায়গা করে দিতেই ৪৫ বছর বয়সে বাঁশি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এএফসির সাবেক এ এলিট রেফারি।

কেবল ঘরোয়াই নয়, তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও পরিচালনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক। ২০১০ সালে মিয়ানমারে এএফসি কাপের তাজিকিস্তান-পাকিস্তান, তাজিকিস্তান-শ্রীলংকা ও শ্রীলংকা-পাকিস্তান ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন বাংলাদেশের এ রেফারি। তবে শারীরিক সমস্যার কারণে এএফসির এলিট প্যানেলে ঢুকেও থাকতে পারেননি ২ বছরের বেশি।

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।