১৪ গোলেও তৃষ্ণা মেটেনি রোজিনার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৭

মাত্র ৩ ম্যাচে ১৪ গোল। তারপরও গোলের তৃষ্ণা মেটেনি রোজিনার। তাইতো ফাইনালে জোড়া গোল করে ময়মনসিংহকে জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবলে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতিয়েও আফসোস কলসিন্দুরের মেয়ে রোজিনার ‘আমি এবার ২০-২২ টা গোল করতে পারতাম।’

রোজিনার পুরো নাম রোজিনা আক্তার। বঙ্গমাতা ফুটবলের আবিস্কার কলসিন্দুরের নতুন নারী ফুটবল প্রতিভা। সর্বশেষ দুই বছর বঙ্গমাতা ফুটবলে কলসিন্দুরের হয়ে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনাল শেষে ময়মনসিংহের মেয়েদের সব আনন্দের কেন্দ্রে ছিলেন ছোটোখাটো গড়নের এ স্ট্রাইকার। মিডিয়ার সব আলোও কেড়ে নিলেন ময়মনসিংহের এ কিশোরী।

দেশের মেয়েদের ফুটবলে অনন্য এক নাম সাবিনা খাতুন। জাতীয় দলের এ স্ট্রাইকার গোল করেন মুড়িমুড়কির মতো। তাকে আদর্শ মেনেই সব ছেড়ে ফুটবল বেছে নিয়েছেন ছোট্ট রোজিনা। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হাতে তাইতো সাবিনা খাতুনের নাম নিতে ভুলেননি নারী ফুটবলের আগামীর এ তারকা, ‘আমি জাতীয় দলে খেলতে চাই। সাবিনা আপুর চেয়েও বেশি গোল করতে চাই।’

জেএসসি পরীক্ষার জন্য রোজিনা খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনাল। তবে বইয়ের পাতায় চোখ রেখেও সারাক্ষণ মনে ভেবেছেন দলের কথা, ‘পরীক্ষার জন্য খেলতে না পারলেও আমাদের দল জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে বাড়িতে বসেই টেনশন করেছি।’

পিকআপ ড্রাইভার বাবার মেয়ে কিভাবে এলেন ফুটবলে? দলকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পর সে গল্পটাও বললেন রোজিনা, ‘আমি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি। আপুদের খেলা দেখে ভাবতাম আমিও যদি একদিন খেলতে পারতাম। মাঝে মধ্যে ফুটবল প্র্যাকটিসও করতাম। একদিন স্যার (মফিজ স্যার) আমাকে ডেকে বলেন তুই খেলতে পারবি। তোর শটে পাওয়ার আছে। পরিশ্রম কর, ভালো ফুটবলার হতে পারবি। আমার শুরুটা সেখান থেকেই।’

রোজিনার বাবা ঢাকাতেই পিকআপ চালান। তবে ব্যস্ততার কারণে দেখতে আসতে পারেননি মেয়ের ফাইনাল খেলা। এ জন্য একটু মন খারাপ ১৪ গোল করা এ ক্ষুদে স্ট্রাইকারের, ‘বাবা ঢাকাতেই ছিলেন। ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি। বাবা আমার খেলা দেখলে আরো বেশি খুশি হতাম।’

আরআই/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।