শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৭

জয় দিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করার লক্ষ্যটা ভালোভাবেই পূরণ হলো বাংলাদেশের। আজ তাজিকিস্তানের হিসোর সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।

বাংলাদেশের সব কয়টা গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। জোড়া গোল করেছেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। বাকি দুই গোল বিশ্বনাথ ও রিয়াদুল হাসানের।

এ জয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান তিন নম্বরে। আগের ম্যাচে শেষ মুহুর্তের আত্মঘাতি গোলে উজবেকিস্তানের কাছে হারের পরই বাংলাদেশের গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায়। তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল জয় দিয়ে শেষটা রাঙানো।

ম্যাচের আগে কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি বলেছিলেন, তারা শেষ ম্যাচটা জিতে ফিরতে চান। বাকি হিসেবে-নিকেশ মাথায় নেননি তিনি। টুর্নামেন্টের আগে যে লক্ষ্য স্থির করেছিল যুবারা তা পূরণ হয়েছে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর মধ্যে দিয়ে।

চার ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ড্র করেছে তাজিকিস্তানের সঙ্গে এবং হেরেছে উজবেকিস্তানের কাছে।

বাংলাদেশ এক চেটিয়া প্রাধান্য নিয়ে খেলে প্রথমার্ধেই চারবার বল পাঠায় শ্রীলঙ্কার জালে। তখন মনে হয়েছিল লঙ্কানদের গোলবন্যায় ভাসিয়ে যুবারা নিজেদের কাজটি সেরে রাখবে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সমীকরণ মেলাতে।

কিন্তু বাংলাদেশের যুবারা দ্বিতীয়ার্ধে আর শ্রীলঙ্কার পোস্ট খুঁজে পায়নি। তাই প্রথমার্ধের চার গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

শুরু থেকেই লঙ্কানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। সাফল্য আসে ১৩ মিনিটে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের গোলে। কর্নার থেকে সুফিলের শট পোস্টে লেগে ফিরলে বিশ্বনাথ ঘোষ সুযোগ নষ্ট করেননি। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রিয়াদুল হাসান। সৈকতের কাছ থেকে পাওয়া বল ধরে বাম পায়ের প্লেসিংয়ে গোল করেন তিনি।

এর ৫ মিনিট পরই ব্যবধান ৩-০ করেন মালদ্বীপের বিরুদ্ধে শেষ মুহুর্তে গোল করে ম্যাচ জেতানো মাহবুবুর রহমান সুফিল। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে বল পেয়ে আরামবাগের এ ফরোয়ার্ড নিখুঁত প্লেসিংয়ে বল জড়িয়ে দেন শ্রীলঙ্কার জালে। বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহুর্তে সুফিল নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন।

শেষ গোলটিও ছিল একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ফল। লঙ্কানদের সীমানায় নিজেদের মধ্যে বল দেয়া-নেয়া করে রক্ষণ তছনছ করেন লাল-সবুজ জার্সিধারী যুবারা। বিপলুর সেন্টার থেকে বল পেয়ে দ্রুতগতিতে লংকান বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোল করেন সুফিল।

প্রথমার্ধে চার চারটি গোল করেও কেন দ্বিতীয়ার্ধে গোলহীন? ‘বিরতির সময় আমি ছেলেদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছি আরো বেশি গোল দিতে। কিন্তু হয়েছে উল্টো। কারণ দ্বিতীয়ার্ধে সবাই গোল দিতে চেয়েছে। যে কারণে ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তারপরও আমি খুশি। টুর্নামেন্টের আগে ৭ পয়েন্টের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, সেটাই হয়েছে। ছেলেরা অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে’-ম্যাচের পর বলেন যুব দলের কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি।

আরআই/এমএমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।