শেষ হাসি ইংল্যান্ড না স্পেনের?

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা কোলকাতা (ভারত) থেকে
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

দিল্লি, মুম্বাই, গোয়াহাটি, কচি ও মারগাও আগেই বিদায় দিয়েছে ছোটদের বিশ্বকাপকে। বিদায় দেয়ার শেষ প্রস্তুতি চলছে কলকাতার বিবেকানন্দ যুব ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে। শনিবার সল্ট লেকের এ স্টেডিয়ামে পর্দা নামবে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে চলছিল সমাপনী অনুষ্ঠানের ক্লোজডোর রিহার্সেল। বিশাল স্টেডিয়াম ক্যাম্পাসের বাইরে কিছু উৎসুক মানুষের আনাগোনা। ফাইনালের টিকিট প্রত্যাশিও ছিলেন অনেকে।

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এমনিতেই অপরূপভাবে সাজানো হয়েছে কলকাতার সবচেয়ে বড় এ স্টেডিয়ামকে। ফাইনাল উপলক্ষ্যে আরেকবার এখানে লেগেছে রঙের ছোঁয়া। হোক ছোটদের টুর্নামেন্ট-বিশ্বকাপের ফাইনাল বলে কথা। নিজেদের খেলাধুলার ইতিহাসে সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্ট আয়োজনের শেষটাকে রাঙিয়ে দিতে সব প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।

ছোটদের বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের দুই জায়ান্ট স্পেন ও ইংল্যান্ড। বয়সভিত্তিক এ বিশ্বকাপে এ দুটি দল কখনো চ্যাম্পিয়ন হয়নি। শনিবার রাতে যে দেশই চ্যাম্পিয়ন হোক, তাদের হাতে প্রথম উঠবে যুবাদের সবচেয়ে বড় ও মর্যদার আসরের ট্রফি। ফাইনালের আগে শুক্রবার বিকেলে অনুশীলন করেছে ইংল্যান্ড, সন্ধ্যায় স্পেন। দুই দেশই দক্ষিণ এশিয়া থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ট্রফি উড়িয়ে নিতে শেষ মরণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতিই নিচ্ছে।

ফাইনালের আগে ‘বিগম্যাচ’ জিতেছে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে তারা হারিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। স্পেনের অবশ্য তেমন বাধা ছিল না মালি। গতবার ফাইনালে খেলা আফ্রিকার দেশটিকে সহজেই তারা হারিয়েছে সেমিফাইনালে।

প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই অনেক খুশি ইংল্যান্ড। তবে ব্রাজিলকে হারালেও মাটিতেই পার রাখছেন ইংলিশরা। শুক্রবার দুপুরে ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড যুব দলের কোচ স্টিভ কুপার বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি ফাইনালে খেলতে পেরে। আমরা শেষটাও রাঙাতে চাই।’

ব্রাজিলকে হারিয়েছেন সেমিফাইনালে। ফাইনালে কী নিজেদের ফেবারিট ভাবছেন? ‘ ফাইনালে ওঠার পথে ব্রাজিলকে হারিয়েছি। তাই বলে নিজেদেরই ফেবারিট ভাবছি তা নয়। স্পেনও অনেক ভালো ফুটবল খেলে ফাইনালে উঠেছে’-জবাব ইংলিশ কোচের।

কিছুদিন আগে ইউরো অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছে। ফাইনালের চাপটা ভালোভাবে নেয়ার অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। তবে দলের কোচ মনে করেন ইউরো আর বিশ্বকাপের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এখানে অবশ্যই ভিন্ন চাপ থাকবে।

‘আমাদের ছেলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ভালো করছে। অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্পেনের দুই তিন জন খুবই ভালো ফুটবলার রয়েছে। তবে তাদের নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা স্পেনের গোটা দল নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছি’-যোগ করেন স্টিভ কুপার

ট্রফি নিয়েই ফিরতে পারবেন-এমন আশাবাদী স্পেন যুব দলের কোচ সান্টিয়াগো ড্যানিয়াও। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো ফুটবল খেলছে। আমরা তাদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। ইংল্যান্ডের সুবিধা হলো ব্রেস্টারের মতো একজন ফরোয়ার্ড আছে তাদের। যে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছে। সে একাই ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারে। তাকে এবং ইংল্যান্ডকে কীভাবে রোখা যায় সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। আমাদের বিশ্বাস ট্রফি নিয়েই ফিরতে পারবো।’

স্পেনের সিনিয়র দল ইউরো কাপের পর বিশ্বকাপও জিতেছিল। তাদের অনুর্ধ্ব-১৭ সামনেও তেমন সুযোগ। ব্রাজিলের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের ভিডিও দেখেছেন স্পেন কোচ। বল দখলটা অনেক ভালো ছিল ইংল্যান্ডের।

তবে এ নিয়ে বেশি চিন্তা নেই স্পেন কোচের। তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনালে মালি আর আমাদের বল পজেশন ছিল ফিফটি ফিফটি। ম্যাচটি কিন্তু আমরাই জিতেছি। আমরা নিজেদের খেলাটাই খেলতে চাই। আমাদের চেষ্টা থাকবে নিজেদের পায়ে বল বেশি রাখার। বল বেশি পায়ে রাখতে পারলে গোলের সুযোগও বেশি আসবে।’

আরআই/এমএমআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।