কাতারকে হারানোর প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন ফাহিম-দীপকরা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিমান বন্দর থেকে কিশোর ফুটবলারদের বহনকারী বাসটি বাফুফে ভবনের পেছনের ফটকের সামনে আসতেই গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। সবার আগ্রহে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও দীপক রায়। তাদের গোলেই তো রোববার দোহায় ইতিহাস রচিত হয়েছে। যে কোনো পর্যায়ের ফুটবলে কাতারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

ফুল আর মিষ্টি নিয়ে তখন ভবনে ঢোকার প্রধান দরজায় দাঁড়িয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। ফাহিম, দীপকরা একজন একজন করে বাফুফে ভবনে প্রবেশ করছেন এবং আবু নাঈম সোহাগ তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন রজনী গন্ধার তোড়া, মুখে তুলে দিচ্ছেন মিষ্টি। হেড অব ডেলিগেশন হয়ে কাতার ভ্রমণ করে আসা ফজলুর রহমান বাবুলও তখন ব্যস্ত। খেলোয়াড়দের মিষ্টি খাওয়ালেন, নিজেও খেলেন। তিনি খেলোয়াড়দের সংবর্ধিত করলেন, নাকি নিজে সংবর্ধিত হলেন বোঝা গেলো না।

ভবনে প্রবেশ করেই মিডিয়ার সামনে হাস্যজ্জ্বল দুই গোলদাতা ফাহিম ও দীপক। তাদের ঝুলিতে কী জাদু ছিল তা জানার আগ্রহই বেশি ছিল মিডয়ার। প্রথম গোলদাতা দীপক রায় মনে করেন ‘২০২২ সালে যে দেশে বিশ্বকাপ হবে সেই দেশে গিয়ে ম্যাচ খেলাটা বিশাল ব্যাপার। ওখানে শক্ত দলের সঙ্গে খেলেছি। তারপরও আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছি। প্রমাণ করেছি, আমরাও পারি।’

সাফল্যের পেছনে বড় কারণ হিসেবে তিনি দেখছেন তাদের প্রতিজ্ঞা, পরিশ্রম ও ফেডারেশনের ভূমিকাকে, ‘আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। ফেডারেশনও আমাদের প্রতি নজর রেখেছিল। তাই এই ফলাফলটা ভালো করতে পেরেছি। ইয়েমেনের সঙ্গে লড়াই করে হারের পর মনে হয়েছিল কাতারকে হারাতে পারবো। আমরা তাই প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলাম কাতারকে হারাবোই।’

Football-team

দ্বিতীয় গোলদাতা ফাহিম বলেছেন, ‘প্রথম থেকেই খেয়াল করেছিলাম ওদের গোলরক্ষক বারবার এগিয়ে আসে। বলটা যখন পেলাম তখন সেটাই আমার মাথায় ছিল। গোলরক্ষক এগিয়ে আসবে সে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছি।’

দোহায় প্রবাসী বাঙ্গালি দর্শকদের প্রশংসা করেছেন ফাহিম, ‘আমার ভালো লাগছে দোহায় বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য। প্রথম ম্যাচে হারার পরও দ্বিতীয় ম্যাচে আরো দর্শক এসেছিল মাঠে। সারাক্ষণ তারা গ্যালারি থেকে আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। ওদের সমর্থন দেখে মনে মনে ভাবলাম শেষ ম্যাচ জিততেই হবে।’

আপনি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন। দীপক তার আগে করেছেন প্রথম গোল। দুই জনের গোলই গুরুত্বপূর্ণ। তো গোলের পর আপনার অনুভূতিই কেমন ছিল? ম্যাচের পর পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলন কি না? ‘না, ম্যাচের পর কারো সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। সে সুযোগও ছিল না। দেশে এসে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি’- বলছিলেন স্ট্রাইকার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।

আরআই/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।