চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শক্তি প্রদর্শন করল ম্যানসিটিও

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২২ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ম্যানচেস্টার সিটি যখন ‘জায়ান্ট’ হয়ে উঠলো, তখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে তাদের স্বপ্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও। তবে, সে স্বপ্ন পূরণের কাছেও যেতে পারেনি তারা। এবার পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা প্রত্যাশা করছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভুত হবেন। সে লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচেই নিজেদের শক্তিমর্তা প্রদর্শণ করলো ম্যানসিটি। হল্যান্ড গিয়ে স্থানীয় ক্লাব ফেয়েন্যুরডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে এসেছে ম্যানসিটি।

ম্যানসিটির হযে জন স্টোনস করেন জোড়া গোল। বাকি দুটি করেন সার্জিও আগুয়েরো এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ১৫ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরে এসে শুরুতেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো ডাচ ক্লাবটি। ‘এফ’ গ্রুপে ম্যানসিটির পরের দুই ম্যাচই ঘরের মাঠে। শাখতার দোনেৎস্ক এবং ন্যাপোলির বিপক্ষে।

খেলার দ্বিতীয় মনিটেই গোলের সূচনা করেন জন স্টোনস। ডেভিড সিলভার ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ এক হেড নেন জন স্টোন্স। ফেয়েন্যুরডের সাবেক লিভারপুল গোলরক্ষক ব্র্যাড জোন্স চেষ্টা করেও পারলেন না বলটি থামাকে। শেষ পর্যন্ত সেটি গিয়ে আশ্রয় নেয় ডাচ ক্লাবটির জালে।

২ মিনিট পরই লিডের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারতো ম্যানসিটি। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের একটি হেড পোস্টের সামনে থেকে ফিরে আসে। এর কিছুক্ষণ পরই, খেলার ১০ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেন সার্জিও আগুয়েরো। কেভিন ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পেয়ে সেটাকে আবার কাইল ওয়াকারের দিকে বাড়িয়ে দেন বের্নার্ডো সিলভা। কাইল ওয়াকার শেষ টাচ দেয়ার জন্য বাড়িয়ে দেন আগুয়েরোর কাছে। ওয়কারের দারুন ক্রস থেকে আসা বলটি নিয়ন্ত্রন নিয়ে ডান পায়ের শটে ফেয়েন্যুরডের জালে জড়ান আগুয়েরো।

প্রথমার্ধেই গোলের ব্যবধান তিনগুণ করে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস। প্রথমার্ধ শেষ হলো ৩-০ গোলেই। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ব্যবধান আর একবার বাড়াতে পেরেছিল সিটি। খেলার ৬৩ মিনিটে গিয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ গোল করেন জন স্টোনস। কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ এক হেড করেন স্টোনস। তার দুটি গোলই হলো হেড থেকে।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।