সেলটিককে ফুটবল শেখালেন নেইমার-এমবাপে-কাভানিরা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফরোয়ার্ড লাইন এখন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হাতে। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর নেইমার, ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর কাইলিয়ান এমবাপে, সঙ্গে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। সব মিলিয়ে পিএসজির স্ট্রাইক লাইনের মূল্য ৪১৯ মিলিয়ন ইউরো। অপরদিকে পুরে সেলটিক ফুটবল দলটির সেরা একাদশের মূল্য মাত্র ১৭ মিলিয়ন ইউরো। এই লড়াইয়ে তাহলে কে জিতবে অনায়াসেই বলা যায়।

ম্যাচ শুরুর আগেই পিএসজির ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে মজা করে সেলটিকের কোচ ব্রেন্ডন রজার্স বলেছিলেন, আমরা ৭-০ গোলে না হারলেই হয়। যে দুর্দান্ত ফরোয়ার্ড লাইন পিএসজির, তাতে তো উড়ে যাওয়ার কথা। সেলটিক কোচ মজা করে এমন কথা বললেও বাস্তবেও যে তার প্রায় কাছাকাছিই হলো!

পিএসজির তিন স্ট্রাইকারের সম্মিলিত আক্রমণে দিশেহারা হয়ে ওঠার অবস্থা স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন সেলটিকের। গ্লাসগোর সেলটিক পার্ক স্টেডিয়ামে তিন বিধ্বংসী স্ট্রাইকারের গোলে ৫-০ ব্যবধানে সেলটিককে হারিয়েছে পিএসজি।

নেইমার-এমবাপে এবং কাভানি- তিনজনই গোল পেয়েছেন। নেইমার এবং এমবাপে একটি করে, এডিনসন কাভানি জোড়া গোল করেন। এছাড়া একটি গোল হয়েছে আত্মঘাতি। তাতেই বিধ্বস্ত হতে হলো স্কটিস চ্যাম্পিয়ন সেলটিককে।

খেলার ১৯ মিনিটে গোলের সূচনা করেন নেইমার। আদ্রিয়ান র্যাবিওটের বাড়ানো পাস থেকে বল পেয়ে কয়েকজনকে কাটিয়ে ডান পায়ের দারুণ এক শট নেন নেইমার। তাতেই কেঁপে ওঠে সেলটিরক জাল।

খেলার ৩৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন কাইলিয়ান এমবাপে। ডান পাশ থেকে পিএসজির এক খেলোয়াড় লম্বা ক্রস বাড়ালে বক্সের বাম পাশে দাঁড়িয়ে হেডে বলটি এমবাপের পায়ের ওপর ফেলেন নেইমার। সেটিই ডান পায়ের দারুণ এক শটে সেলটিকের জালে জড়ান বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যবান ফুটবলার এমবাপে।

খেলার ৪০ মিনিটেই ব্যবধান তিনগুণ করে ফেলেন এডিনসন কাভানি। পেনাল্টি থেকে গোল করে। জোজো সিমোনোভিক বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন কাভানিকে। উরুগুয়ে এই স্ট্রাইকারই আসেন শট নিতে। তার শট জড়িয়ে যায় সেলটিকের জালে।

দ্বিতীয়ার্ধে সেলটিক তাদের রক্ষণকে বেশ শক্তিশালী করে নেয়। যে কারণে নেইমারদের কোনো প্রচেষ্টাই যেন আলোর মুখ দেখছিল না। শেষ পর্যন্ত ৮৩তম মিনিটে গোলের দেখা মেলে। তবে এটি আত্মঘাতি। সেলটিকের মিকায়েল লাস্টিং নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। এর ২ মিনিট পর আবারও গোল। এবার গোলদাতা এডিনসন কাভানি। লাইভিন কুরজুয়ার একটি ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে কোনাকুনি শটে গোল করেন তিনি।

ম্যাচ শেষে আর মজা করতে পারলেন না সেলটি কোচ রজার্স। তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা যেন অনুর্ধ্ব-১২ বয়সী ফুটবলারদের খেলা খেলেছি। তাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলাম এবং বলই ধরতে পারিনি। তারা সত্যিই চমৎকার একটি দল এবং জয়ের দাবিদার।’

আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।