ইসরায়েলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল ইতালি
চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। আগামী বিশ্বকাপে কী তাদের খেলা হবে? প্রশ্নটার উত্তর এখনও বেশ কঠিন। কারণ, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তারা পড়েছে খুব কঠিন গ্রুপেই। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে স্পেন। বাকি প্রতিপক্ষগুলো মোটামুটি সহজই।
আলবেনিয়া, ইসরায়েল, মেসেডোনিয়া, লিখটেনস্টেইন। স্পেনকে পেছনে ফেলে ইতালির শীর্ষে ওঠা মনে হচ্ছে বেশ কঠিনই। কারণ, ৮ ম্যাচ শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে স্পেন। ইতালির পয়েন্ট ১৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারলে তারা খেলবে দ্বিতীয় রাউন্ড, অথ্যাৎ প্লে-অফ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকাটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। ইসরায়েলকে মাত্র ১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছ। ইতালির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন সিরো ইমোবিলে। খেলার ৫৩ মিনিটে আন্তোনিও কানদ্রেভার ডান পাস থেকে নেয়া ক্রসে অসাধারণ এক হেডে ইসরায়েলের জালে বল জড়ান ইমোবিলে। এই গোলটিই জয় নিশ্চিত করে ইতালির।
তবে আজ্জুরিরা যে সুযোগগুলো মিস করেছে, সে জন্য আক্ষেপ করতে হবে তাদেরকে। নিজেদের মাঠে অসাধারণ সব সুযোগগুলো নষ্ট করেছে ইতালি। খেলার প্রথম মিনিটেই গোল দিতে পারতো ইতালি। মাতেও দারমিয়ানের অসাধারণ এক পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের সামনে থেকে পোস্টের বাইরে বল পাঠিয়ে দেন আন্দ্রে বেলোত্তি।
খেলার ৪৪ মিনিটে গোল হজম করতে পারতো ইতালিও। এতি সেচারের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন অ্যালমগ কোহেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেই শট থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন।
প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্র দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও জ্বলে ওঠে ইতালি। এবার প্রথম চেষ্টাতেই আসে গোল। ৫৩ মিনিটে দেয়া সেই গোলেই জয় ইতালির। ৬৮ মিনিটে আরও একটি নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় ইতালি। এবারও ছিল হেড থেকে গোল দেয়ার চেষ্টা। আন্তোনিও কানদ্রেভা বলটি সুন্দর করে তুলে দেন পোস্টের ওপর। সেখানে অসাধারণ হেডটি নেন আন্দ্রে বেলোত্তি। হেডটি ছিল যেমন দুর্দান্ত তার চেয়েও দুরন্ত ভঙ্গিমায় সেটিকে রক্ষা করেন ইসরায়েলের গোলরক্ষক অ্যারিয়েল হারুশ।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইতালিকে। গ্রুপে বাকি আছে এখনও দুই ম্যাচ। ৬ অক্টোবর তারা খেলবে মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে। এরপর ৯ অক্টোবর শেষ ম্যাচ খেলবে আলবেনিয়ার বিপক্ষে। দুটিই সহজ প্রতিপক্ষ। স্পেনেরও রয়েছে দুটি ম্যাচ, আলবেনিয়া এবং ইসরায়েলের বিপক্ষে। শেষ মুহূর্তে হিসাব-নিকাশ গরমিল হয়ে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষায় সবাই।
আইএইচএস/জেআইএম