মেসির সঙ্গে খেলে আমি গর্বিত : নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

অধিকাংশ ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে বার্সেলোনার হয়ে খেলার। নেইমার তাদেরই একজন। স্বপ্নের ক্লাবটিতে নাম লেখাতে উন্মুখ ছিলেন। তার স্বপ্নের পরিধি আরও লম্বা হয়েছিল লিওনেল মেসির জন্য। গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলারের পাশে খেলতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

নেইমারের সেই স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দিয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই বছর স্বদেশি ক্লাব সান্তোস ছেড়ে বার্সায় পাড়ি জমান এই ব্রাজিলিয়ান। চারটি বছর কাতালান ক্লাবটিতে কাটিয়েছেন। বার্সা ও নেইমারের বন্ধন ছিন্ন হয়েছে। নেইমার এখন যোগ দিয়েছেন পিএসজিতে।

তবে বার্সার স্মৃতি কি এত সহজেই ভুলতে পারবেন নেইমার? নাহ, ভোলেননি। বিশেষ করে, লিওনেল মেসির সঙ্গে তার বন্ধুত্বের বিষয়টি স্মৃতিপটে হয়ে থাকবে অমলিন। বার্সার অন্য খেলোয়াড়দের কথাও ভুলতে পারেননি। তাইতো নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বার্সা ও মেসিকে নিয়ে কিছু আবেগঘন কথা লিখেছেন।

‘বার্সায় খেলা অনেকটা চ্যালেঞ্জের। আমার শৈশবের লালিত স্বপ্ন ছিল। ২১ বছর বয়সে কাতালান ক্লাবটিতে এসেছিলাম। তখন তো আরও বেশি চ্যালেঞ্জের। প্রথম দিনের কথা মনে পড়ে। মেসি, ভালদেজ, জাভি, ইনিয়েস্তা, পুয়োল এবং অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। বার্সা আসলে ক্লাবের চেয়ে বড়।’

মেসির প্রশংসায় নেইমার লিখেছেন, ‘বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওর (মেসির) সঙ্গে খেলে আমি গর্বিত। আমার জীবনে এমন খেলোয়াড় আর দেখিনি। আমি নিশ্চিত, তার চেয়ে ভালো কাউকে কখনো পাব না। মাঠে এবং মাঠের বাইরে মেসি আমার বন্ধু। তোমার সঙ্গে খেলতে পেরে আমি সম্মানবোধ করছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি, বন্ধু!’

আবেগঘন স্ট্যাটাসে নেইমার তুলে এনেছেন কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও। কর ফাঁকি নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে। তাই মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও অনেক চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে।

কর ফাঁকির মামলায় মুক্তি পেয়েছেন নেইমার। তারপরও বার্সায় থাকতে পারলেন না তিনি। পেশাদার ফুটবলের তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন নতুন ঠিকানায়। পিএসজিতে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাইবেন নেইমার। নতুন অধ্যায় শুরুর আগে সবার সহযোগিতা চাইছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

এনইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।