গুঞ্জন নিয়েও ক্লাসিকোতে নেইমারের দাপট

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৪ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৭

দল বদলের বাজারে জোড় গুঞ্জন বার্সা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে নাম লেখাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। গুঞ্জনটা আরও জোড়াল হয় এল ক্লাসিকোর ঠিক আগের দিন দলের অনুশীলনের সময় সতীর্থ ডিফেন্ডার নেলসন সেমেদোর সঙ্গে ঝগড়া এবং এক পর্যায়ে মারামারি করে রেগেমেগে অনুশীলনই ছেড়ে চলে গেলে। গুঞ্জন উঠেছিল, এল ক্ল্যাসিকোই খেলা হচ্ছে না নেইমারের।

তবে সব কিছু পেছনে ফেলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। নিজে গোল না করতে পারলেও সতীর্থকে দিয়ে দুই গোল করিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও রাখলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।

রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টার দিকে মায়ামির সান লাইফ স্টেডিয়ামে মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে মাঠে নামেন নেইমার। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। এরই ধারাবাহিকতায় মেসির দেওয়া গোলে তিন মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। মেসির শট রাফায়েল ভারানের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সা। বাঁ-দিক থেকে নেইমারের নিচু ক্রসে জোরালো শটে বল জালে পাঠান ইভান রাকিতিচ।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে প্রাক মৌসুমে এখনো কোন জয় না পাওয়া রিয়াল। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ক্যাসিমেরোর বাড়ানো বলে সিলেসেনকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান কোভাসিচ।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোলের সুযোগ পান নেইমারও। তবে ডান দিক থেকে সুয়ারেসের বাড়ানো বল ধরে আগের দুই ম্যাচে তিন গোল করা ব্রাজিলিয়ান এই তারকার শট ডান পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।

এদিকে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে পাস দিয়েছিলেন কোভাসিচকে। ডি-বক্সে বল ফেরত পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে নিচু শটে সহজেই সিলেসেনকে পরাস্ত করেন আসেনসিও।

বিরতি থেকে ফিরে আবারও এগিয়া যায় বার্সা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে নেইমারের মাপা ফ্রি-কিকে পা বাড়িয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন জেরার্দ পিকে। পাঁচ মিনিট পর আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। পড়ে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে এই তারকাকে মাঠ থেকে তুলে নেন বার্সা কোচ।

এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।