কোন নিয়মে আউট হলেন শেখ মেহেদী?
অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট- ফিল্ডিংয়ে বাধা দেয়ার ফলে ব্যাটারকে আউট ঘোষণার যে নিয়ম। ক্রিকেটে যে ১০ পদ্ধতিতে একজন ব্যাটার আউট হন, তার মধ্যে এটা একটা। যদিও অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড- আউটটা অনেক বিরল।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এই পদ্ধতিতে আউট হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ব্যাটিং হাত দিয়ে বল ধরে এ নিয়মে আউট হন তিনি।
এবারের বিপিএলও দেখলো ক্রিকেটের বিরলতম আউটের দৃশ্য। আজ (বৃহস্পতিবার) সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড- আউট হলেন রংপুরের ব্যাটার শেখ মেহেদী।
মাঠে নেমেই তিনি এই আউটের শিকার হলেন পাকিস্তানি বোলার জাহানদাদ খানের বলে। যদিও অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউটের উইকেট বোলারের নামের পাশে লেখা থাকে না।
ঘটনাটা ঘটে রংপুর রাইডার্সের ইনিংসের ১৯তম ওভারের ৪র্থ বলে। বরিশালের করা ১৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করছিলো রংপুর। ১৯তম ওভারের বল করতে আসেন জাহানদাদ খান। প্রথম দুই বলে খুশদিল শাহের কাছে টানা দুটি ছক্কা হজম করার পরই জ্বলে ওঠেন পাকিস্তানি এই বোলার। খুশদিলকে আউট করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে।
পরের বলে খেলতে নেমেই ক্যাচ তোলেন শেখ মেহেদী। রিটার্ন ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন জাহানদাদ খান। কিন্তু তাতে বাধার সৃষ্টি করেন নন স্ট্রাইকে থাকা নুরুল হাসান সোহান। সুতরাং, এ ক্ষেত্রে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড কার্য করা হয়।
যদিও সংশয় তৈরি হয়, কাকে আউট দেয়া হবে তা নিয়ে। কারণ, ক্যাচ ধরতে বাধা দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান, অন্যদিকে স্ট্রাইকে ছিলেন, তথা শট খেলেছেন শেখ মেহেদী। আম্পায়াররা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেন, আউট হয়েছেন মেহেদী। সে সিদ্ধান্তে শেখ মেহেদী হাসান ক্রিজ ছেড়ে যান।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, ফিল্ডিংয়ে বাধা দেয়াই তো অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড- আউটের নিয়ম। সে ক্ষেত্রে তো আউট হওয়ার কথা সোহানের। শেখ মেহেদী কেন আউট হলেন?
মূলত, ক্রিকেটের আইনে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে আউট হন শেখ মেহেদীই। এমসিসি আইনের ৩৭.৩ ধারায় ক্যাচের ক্ষেত্রে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যদি ডেলিভারি ‘‘নো’’ না হয়ে থাকে, তাহলে যে ব্যাটারই ক্যাচে বাধা দিক না কেন, আউট হবেন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার।’
আইএইচএস/