তিন দিনে টেস্ট শেষ, তবুও সিডনির উইকেটে সন্তুষ্ট আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পঞ্চম ও শেষ টেস্ট যেমন জমবে বলে প্রত্যাশা ছিল, বাস্তবে তেমনটা হয়নি। মাত্র তিন দিনেই বেরিয়ে এসেছে ম্যাচের ফলাফল। ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

পুরো ম্যাচে বোলিং হয়েছে মাত্র ১৯১ ওভার। রান উঠেছে ৬৮৫। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিনেই পড়েছে ১৫ উইকেট। মূলত, পিচে ঘাসের পুরু স্তর থাকায় ব্যাটারদের জন্য খেলা কঠিন হয়েছিল। যা দ্রুত উইকেট পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল।

সিরিজ নির্ধারণী লড়াই জমে না ওঠায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এসসিজি) সমালোচনা করেছেন। এ তালিকায় সামনের সারিতে ছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার।

ম্যাচ চলাকালীন কমেন্ট্রিবক্সেই ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলে ওঠেন, ‘এটি আদর্শ টেস্ট ম্যাচের পিচ নয় যা আপনি চান। কারণ, আপনি চান যে, এটি চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে গড়াক। ভারতে (এক দিনে) ১৫ উইকেট পড়লে সমস্ত নরক ভেঙে যেতো। আমরা গ্লেন ম্যাকগ্রাকে বলেছিলাম, আপনি কি কোনো প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে পিচ নিয়ে হাহাকার করতে শুনেছেন?’

ভারতীয়দের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজাও বলেছেন, সিডনির উইকেট সত্যি সত্যিই ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল। ‘এবিসি রেডিও’কে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলবো না। এটা নিয়ে আগে খুব বেশি কথা বলতে চাইনি। কিন্তু উইকেট ত্রুটিযুক্ত ছিল। ঐতিহ্যবাহী এসসিজি উইকেটের মতো ছিল না। যার ওপর নতুন ঘাস রয়েছে। এটির চারপাশে ফাটল রয়েছে, এটা ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল, স্কোরবোর্ডই আপনাকে বলবে।’

এত এত সমালোচনার পর ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন, সিডনির উইকেটকে কী রেটিং দেয় আইসিসি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার পিচ নিয়ে মতামত দিয়েছে বিশ্বক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সেখানে সিডনির উইকেটকে ‘সন্তোষজনক বলে অ্যাখ্যা দেয় তারা। এতে কিছুটা হলেও অবাক হন ক্রিকেটভক্তরা।

সিডনির পাশাপাশি বাকি চার ভেন্যুরও (পার্থের অপটাস স্টেডিয়াম, অ্যাডিলেইডের ওভাল, ব্রিজবেনের গাবা ও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) রেটিং দিয়েছে আইসিসি। সবগুলোই পেয়েছে ‘ভেরি গুড’ (খুবই ভালো) রেটিং।

মজার বিষয় হলো- আইসিসি সরাসরি বিবৃতি দিয়ে রেটিং জানায়নি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মাধ্যমে তারা এটি প্রকাশ করেছে।

সিএ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুরুতে গতি ও বাউন্সের মাধ্যমে এসসিজি নিজের অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রকাশের চেষ্টা করছে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির উত্তেজনাময় সমাপ্তি ঘটিয়ে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে চলতি বছর এটি সফল পদক্ষেপ। ২০২৫-২০২৬ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন অ্যাশেজের (সিরিজ) প্রস্তুতিও এটি।’

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।