কনস্টাসকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান কোচের অভিযোগের পাল্টা জবাব গম্ভীরের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ব্যাটার স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কা দিয়ে শাস্তি পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। আজ রোববার শেষ হওয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ফাইনাল টেস্টেও সিডনিতে ১৯ বছর বয়সী সেই কনস্টাসের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।

সিডনি টেস্টের প্রথম দিনের শেষ বলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাকে আউট করে নন-স্ট্রাইকপ্রান্তে থাকা কনস্টাসকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক উদযাপন করেন বুমরাহ ও ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। বুমরাহকে এই কাজের রশদ জুগিয়েছিল কয়েক সেকেন্ড আগে কনস্টাসের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি।

ঝগড়ার সূত্রপাত মূলত খাজা থেকে। স্ট্রাইকপ্রান্তে ব্যাট হাতে প্রস্তুত হতে দেরি করছিলেন অসি ব্যাটার। ফলে বুমরাহকে বল করতে বাধা দেন আম্পায়ার। খাজার এমন কাজে বিরক্ত প্রকাশ করেন বুমরাহ, প্রতিবাদও জানান। এক পর্যায়ে বুমরাহকে লক্ষ্য করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় বনস্টাসকে। এরপরই বুমরাহর কথা কাটাকাটির সেই ঘটনা। অবশেষে খাজার উইকেট তুলে নেওয়াকে প্রতিশোধ হিসেবে নেন বুমরাহ।

ওই দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাকডোনাল্ড অভিযোগ করেন, কনস্টাসকে ভয় দেখাতেই এমনটা করেছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে এই ব্যাটার যেন ব্যাট হাতে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন, তারই কৌশল হিসেবে এমন কাজ ভারতের।

সিডনিতে আজ ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে অসিরা। ম্যাচ শেষে ম্যাকডোনাল্ডের সেই অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর।

গম্ভীর জানান, ভয় দেখানো ভারতের উদ্দেশ্য ছিল না। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হওয়ায় এই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল বেশি। ফলে ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ক্ষিপ্রতা ছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান কোচের অভিযোগের পাল্টা জবাবও দিয়েছেন গম্ভীর। ভারতীয় কোচ মনে করেন, বুমরাহর সঙ্গে কথা বলার কোনো অধিকার ছিল না কনস্টাসের। অর্থাৎ অনধিকার চর্চা করেই বুমরাহর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন কনস্টাস।

গম্ভীর বলেন, ‘এটা কঠিন পুরুষদের কঠিন খেলা। আপনি এত নরম হতে পারবেন না, যতটা সহজ (চাচ্ছেন)। আমি মনে করি না, এখানে ভয় দেখানোর কিছু ছিল। উসমান খাজা যখন সময় নিচ্ছেন, তখন জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গে কথা বলার অধিকার তার (কনস্টাস) ছিল না।কোনো অধিকার ছিল না।’

‘জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গে (তর্কে) জড়িত হওয়া তার (কনস্টাস) কাজ ছিল না। এটি আম্পায়ারের কাজ। যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমি মনে করি না, আমাদের এটি থেকে বড় সমস্যা তৈরি হোক’- যোগ করেন গম্ভীর।

পূর্বেও এ ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে জানিয়ে গম্ভীর বলেন, ‘শুধু এই সিরিজে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা নয়। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। অতীতে অস্ট্রেলিয়ার অনেক খেলোয়াড়ও এটা করেছে।’

এমএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।