‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ একটা বানানো জিনিস: সুজন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

খালেদ মাহমুদ সুজন দুর্নীতি কিংবা অর্থনৈতিক কোনো ক্যালেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, এমন খবর কখনো শোনা যায়নি। এক কথায় সুজনের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কখনো। তবে একসঙ্গে অনেক পদে থাকা নিয়ে বিভিন্ন তীর্যক কথা হয়েছে।

প্রথমত, সুজন ছিলেন বিসিবি পরিচালক। বোর্ড পরিচালক হওয়ার সুবাদে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়াম্যানের দায়িত্বও পালন করতেন তিনি। দুই পদে থেকে আবার ক্লাব কোচিং, বিপিএল কোচিংও করিয়েছেন। জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত ছিলেন। কখনো ম্যানেজার, কখনো কোচিং প্যানেলের সদস্য আবার কোনো কোনো সময় ম্যানেজার কিংবা টিম ডিরেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন ছিলেন।

অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, সুজন এক সঙ্গে এত পদে কেন? এটা তো ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত। মোদ্দাকথা এ অপবাদেই দুষ্ট ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। এবার নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবির এই সাবেক পরিচালক।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম অনুশীলনে শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সুজন। একসঙ্গে ৪/৫টি পদে জড়িত থাকলেও সেখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

সুজন বলেন, ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট ছিল এটা আমি কখনই মনে করি না। এটা একটা বানানো জিনিস ছিল। কাজ করলে যদি আমি সৎ থাকি, তাহলে আসলে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ, বোর্ডে এক সময় হয়তো ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান অফার করা হয়েছিল, আমি ওটা নেইনি। যেহেতু ডিরেক্টলি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হয় সেজন্য আমি প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএলে কাজ করি। এখানে আমি ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ছিলাম। ওইখানে বেশিরভাগ খেলোয়াড় বিপিএল ও প্রিমিয়ার লিগ খেলে না। ওইখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের চান্স ছিল কম। কিন্তু এটাকে অনেকে রস দিয়ে বানাইছে। এজন্য এটা নিয়ে বেশি কথা হয়েছে।’

এআরবি/এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।