বোলারদের হাত ধরে জেতা সিরিজে শেষ ম্যাচে ব্যাটিং কারিশমার অপেক্ষা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে চলতি সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচের মত শেষ ম্যাচেও কি বোলারদের হাত ধরেই জিতবে বাংলাদেশ? প্রথম ম্যাচে ১৪৭ রানের মাঝারি স্কোর আর পরের খেলায় ১২৯ রানের মামুলি পুঁজি নিয়েও দলকে জিতিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ব্যাটাররা সে অর্থে কিছুই করতে পারেননি।
প্রথম খেলায় ওপেনার সৌম্য সরকার ৪৩ আর পরের ম্যাচে শামীম পাটোয়ারীর হার না মানা ৩৫ রানই ছিল সর্বোচ্চ। বাকিদের গড়পড়তা স্কোর ছিল ২০ থেকে ২৭।
কিন্তু ৫ বোলার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদি ও রিশাদ হোসেন ব্যাটারদের সে ঘাটতি পুষিয়ে দেন। তারা পরপর ২ খেলায় দেখিয়েছেন বড়সড় স্কোর আর লড়াকু পুঁজি ছাড়াও দল জেতানো যায়।
ছোট ও মাঝারি পুঁজি ডিফেন্ড করার কতগুলো ছক বাঁধা অতি কার্যকর কৌশল আছে। প্রথম কৌশল হলো, প্রতিপক্ষ ব্যাটিংয়ের ওপর শুরুতেই আঘাত হানা এবং তাদের প্রথমেই পেছনের পায়ে ঠেলে দেয়া।
সেন্ট ভিনসেন্টে বিজয় দিবসের দিন এবং গত পরশু সকালে ঠিক সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের নতুন বলের দুই বোলার তাসকিন ও শেখ মেহেদি। আর তারপর হাসান মাহমুদ, রিশাদ ও তানজিম সাকিবরা প্রায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন ঘটিয়ে ক্যারিবীয়দের জুটি গড়ার পথ রুদ্ধ করে জয়ের পথ করেছেন সুগম।
কাকতালীয়ভাবে ২ ম্যাচেই ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ফাস্টবোলার তাসকিনের বলে আউট হয়েছেন। একইভাবে ওয়ান ডাউন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের বড় স্তম্ভ নিকোলাস পুরানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন অফস্পিনার শেখ মেহেদি। দুদিনই অফস্টাম্পের বাইরে শেখ মেহেদি পরাস্ত করেছেন পুরানকে।
প্রথম দিন উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে না পেরে স্টাম্পড হয়েছেন পুরান। পরের ম্যাচে অফস্টাম্পের বাইরে শেখ মেহেদির পাতা ফাঁদে স্লিপে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন পুরান।
দুই ম্যাচেই খেলাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম উইকেট পড়েছে প্রথম থেকে তৃতীয় ওভারের মধ্যে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রানের চাকা সচল করার বিপরীতে ক্যারিবীয়রা দুই ম্যাচেই (প্রথম খেলায় ৩৬/৩ আর পরের খেলায় ৩২/৪) ব্যাকফুটে চলে গেছে।
আর তারপর হাসান মাহমুদ, রিশাদ ও তানজিম সাকিবরা ইনিংসের মাঝ ও শেষ দিকে একের পর এক উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন প্রায় নিয়মিত বিরতিতে। তাই কোনো বড় জুটি গড়ে ওঠেনি ক্যারিবীয়দের।
বোলাররা তো প্রতিদিন ম্যাচ জেতাবেন না। টানা দুই ম্যাচ ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা কি এবার জ্বলে উঠতে পারবেন? সেটি হলে আর বোলাররাও তাদের ফর্ম ধরে রাখতে পারলে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয়দের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের কীর্তি গড়বে টাইগাররা।
ভোর ছয়টায় শুরু খেলা। বাংলাদেশ এই ম্যাচ জিতলে শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে ওঠা নতুন লাল সূর্যর মতই সাফল্যে মোড়ানো এক সকালের দেখা মিলবে।
এআরবি/এমএমআর/এএসএম