চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তামিমের খেলা নিয়ে যা বললেন লিপু
পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ দলের পঞ্চপাণ্ডবের দুজন- সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল এ টুর্নামেন্ট খেলবেন কিনা, এখনো নিশ্চিত নয়। এদিকে দেশের ক্রিকেটের ভক্তরা তাদের বিষয়ে এটি উপসংহারে পৌঁছাতে চায়।
সাকিবের বিষয়ে স্পষ্ট করে তেমন কিছু না বললেও তামিমের ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। আশাবাদী কণ্ঠে তিনি জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তামিম দলে ফিরতেও পারেন।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসে শেরে বাংলায় উপস্থিত সংবাদিকদের লিপু জানান, খুব শীঘ্রই তামিম ইস্যুতে কিছু বলতে পারবেন তিনি। পরিষ্কার করে কিছু না বললে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তামিম দলে ফিরলে সেটা হবে দারুণ হবে জানিয়ে লিপু বলেন, ‘তামিম খেলা শুরু করেছেন। এটা আশার আলো। আমার বিশ্বাস, খুব দ্রুত আমরা এটা অবহিত হতে পারব যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনি অ্যাভেইলেবল থাকবেন কিনা। যদি থাকেন তাহলে তো দারুণ।’
এক সময় তামিমের সঙ্গে বোর্ডকর্তাদের দ্বন্দ্বের কথা শোনা গিয়েছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নেই বলে জানান লিপু। বরং তিনি আশা করেন, বর্তমান বোর্ডের অধীনে তামিম ইস্যুর একটা ইতিবাচক পরিণতির সম্ভাবনা আছে।
লিপু বোঝানোর চেষ্টা করেন, তামিম নিজেই নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তাই লিপুর মুখে এমন কথা, ‘অনেক দিন ধরে কেউ যদি আসলে নিজেকে সরিয়ে রাখে তাহলে তো কিছু করার নেই।’
প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আগে ভিন্ন একটা বোর্ড ছিল, মতপার্থক্য ছিল, অনেক বিষয় ছিল। আমার বিশ্বাস, এই নতুন বোর্ডের অধীনে একটা আশার আলো তো দেখাই যাচ্ছে যে তিনি (তামিম) ক্রিকেট মাঠে ফেরত এসেছেন। একটা আশা নিয়ে বড় টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। আমরা নিশ্চয়ই তার সঙ্গে আলাপ করার পর্যায়ে চলে গেছি। এখন বোর্ড ও নির্বাচকদের সমন্বিতভাবে বসে আলাপ করাটা (তামিমের ফেরার) পথ সুগম করবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গেলে তামিমকে আরও ফিটনেস সচেতন হবে, এমন তাগিদ দিয়ে লিপু বলেন, ‘তামিমকে আরও শাণিত হতে হবে। ফিটনেস আরও উন্নতি করতে হবে।’
প্রধান নির্বাচকের অনুভব, দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলা একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে তামিম নিশ্চয়ই জানে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় আসর খেলতে হলে বাড়তি ফিটনেস দরকার।
তামিমের ফিটনেস নিয়ে লিপু বলেন, ‘একটা ক্রিকেটার যখন এত দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, সে নিশ্চয়ই জানে বৈশ্বিক আসরে খেলার জন্য নিজেকে কীভাবে শাণিত করতে হয়, প্রস্তুত করতে হয়। কী ধরনের সহযোগিতা সে আশা করতে পারে বা বোর্ড তাকে দেবে। আমি মনে করি, এগুলো কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
এআরবি/এমএইচ/এমএস