চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে পিসিবি

‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, সবকিছু হবে সমতার ভিত্তিতে’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

টানাপোড়েন কমার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি। পাকিস্তান নিজেদের জায়গায় অটল। ভারতও মত পাল্টাতে নারাজ। সব মিলিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনাও। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে নতুন বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।

আগামীকাল শুক্রবার আইসিসির সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মিটিং হওয়ার কথা পিসিবির। এই সভা থেকেই ৮ দলের অংশগ্রহণে জমজমাট ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তার আগে নিজেদের সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকার কথা জানালেন পিসিবি চেয়ারম্যান।

নকভি জানান, পিসিবি এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে দেশের ক্রিকেটের অমঙ্গল হয়। নিজেদের দিক বিবেচনায় যা করা দরকার, সেই কাজটাই তারা করবে।

এক্ষেত্রে আইসিসিকে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন বলেও গণমাধ্যমকে বলেন পিসিবি চেয়ারম্যান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে নিজেদের ভাবনা ও সিদ্ধান্ত স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি জানান, সমতার ভিত্তিতেই সবকিছু করবে পিসিবি, এমন প্রস্তাব তারা পিসিবিকে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নকভি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য যা দরকার তাই করবো। আমি ক্রমাগত আইসিসি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আমার টিম তাদের সাথে নিয়মিত কথা বলছে। আমরা এখনও আমাদের সিদ্ধান্তে দৃড় যে, আমাদের জন্য ভারতে ক্রিকেট খেলা গ্রহণযোগ্য নয় যদি তারা এখানে ক্রিকেট না খেলে। যা হবে সমতার ভিত্তিতে ঘটবে। আমরা আইসিসিকে খুব স্পষ্টভাবে বলেছি এবং এরপর কী হবে আপনাদেরকে (সাংবাদিক) জানাবো।’

নকভি বোঝাতে চেয়েছেন, ভারত যদি এবার পাকিস্তানে খেলতে না আসে, তাহলে আইসিসির পরবর্তী টুর্নামেন্ট ভারতে অনুষ্ঠিত হলে সেগুলো খেলবে না পাকিস্তান।

উল্লেখ্য, আগামী বছর ভারতে হবে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও পরের বছর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আয়োজন করবে তারা।

রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তান খেলতে আসে না ভারত। এবারও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই) বলছে, হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। যে পদ্ধতিতে বেশিরভাগ ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানে। আর ভারতের ম্যাচগুলো হবে ভিন্ন কোনো দেশে।

ভারতের এই প্রস্তাবকে আগেই উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। অন্যান্য দল আসতে পারলে ভারত কেন পারবে না, তা সুনির্দিষ্ট কারণ লিখিত আকারে উল্লেখ করতে বলেছে পিসিবি। তাতে অবশ্য কোনো সদুত্তর বা লিখিত জবাব দেয়নি ভারত।

বিষয়টি নিয়ে গত মাসে নকভি বলেছিলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। তাদের যেকোনো আপত্তি থাকতে পারে। তা আমাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে।এখন পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলের কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা এটি গ্রহণ করতে প্রস্তুত নই।’

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান অচলাস্থার সুরাহা এখন কেবল সময়ের উপর নির্ভর্রশীল। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি, তাই এখন দেখার।

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।