স্টার্ককে স্লেজিং জয়সওয়ালের, ‘তরুণ-বুড়োর’ কী কথা হলো?
খেলা অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের- সেখানে কথার লড়াই হবে না তা কী করে হয়? অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে কথার লড়াইয়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেন মিচেল স্টার্ক ও হার্ষিত রানা। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে সেই স্টার্কের মুখের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ যসস্বী জয়সওয়াল।
পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ১৫০ রানের জবাবে ১০৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। এতে ৪৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভারত। এরপর ঘটলো এমন ঘটনা।
ভারতীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে বাকযুদ্ধে জড়ান স্টার্ক ও জয়সওয়াল। স্টার্কের করা ওই ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে দুর্দান্ত একটি চার হাঁকান ভারতের বাঁহাতি ব্যাটার জয়সওয়াল।
পরের বলে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে পরাস্ত হন। বল জয়সওয়ালের ব্যাটের বাইরে দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। এরপর বাঁহাতি ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে মুখে ব্যাঙ্গাত্মক হাসির আভা ফুটিয়ে তোলেন স্টার্ক। অসি পেসার বোঝাতে চাইলেন, তার বল খেলা এতটা সহজ নয়। গতি আছে বেশ।
প্রথম দফায় স্টার্কের প্রচ্ছন্ন স্লেজিংয়ে দমে যাননি, জবাবও দেননি জয়সওয়াল। তিনি বোধহয় সিদ্ধান্ত নেন, পরের বলেই অস্ট্রেলিয়ান গতিতারকাকে জবাব দেবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ।
স্টার্কের পরের বল বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঠেকান জয়সওয়াল। এরপর পাল্টা স্লেজিংয়ে অসি পেসারকেে জবাব দেন তিনি। জানান, এত তো খুব ধীরগতির বল। তাকে দমাতে হলে আরও গতি লাগবে।
জয়সওয়াল বলেন, ‘তোমার বল খুবই ধীরগতিতে আসছে।’
Jaiswal to Starc: ‘It’s coming too slow.’ #Confidence #INDvsAUS #Jaiswal pic.twitter.com/ilhgLUlmL6
— Raftar Ahmed (@raftar___21) November 23, 2024
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় জয়সওয়ালের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ স্টার্ক।
ভারতের টেস্ট দলে জয়সওয়ালের অভিষেক হয়েছে গেল বছরের জুলাইয়ে। ওই বছরের আগস্টে হয়েছে টি-টোয়েন্টি অভিষেক। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৪টি টেস্ট খেলেছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ।
অন্যদিকে স্টার্কের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। এখন পর্যন্ত খেলে ফেলেছেন ৮৯ টেস্ট। ওয়ানডে অভিষেক তারও আগে ২০১০ সালের অক্টোবরে। যে কারণে ৩৪ বয়সী স্টার্কের সঙ্গে জয়সওয়ালের লড়াইকে কৌতুকের ছলে ‘তরুণ-বুড়োর’ লড়াই বলাই যায়।
এমএইচ/এএসএম