বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা উইন্ডিজ ওপেনারের
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনে ৮৪ ওভার ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
দ্বিতীয় দিন মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ ভাবছে, কত রানের মধ্যে উইন্ডিজকে আটকাতে পারলে লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে থাকা যায়। অন্যদিকে বড় স্কোর গড়ে চালকের আসনে বসার লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রাখলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার মিকেইল লুইস। তিনি জানিয়ে দিলেন, প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৪০০ বা তারও বেশি রান করা।
লুইস মূলত ৪০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা বলেছেন চতুর্থ উইকেটে অ্যালিক অ্যাথানাজের সঙ্গে তার ১৪০ রানের জুটির আত্মবিশ্বাসে। কেননা ৮৪ রানে উইন্ডিজ হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। চতুর্থ উইকেটের পতন হয়েছে ২২৪ রানের মাথায়। এতে বড় রানের ভিত্তি পায় ক্যারিবীয়রা।
এখন উইকেটে আছেন জাস্টিন গ্রেভস ও জসুয়া দা সিলভা। লুইসের প্রত্যাশা, এই দুই ব্যাটার বড় একটি জুটি করবেন।
লুইস বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। এখন ক্রিজে জাস্টিন এবং জসুয়া দা সিলভা রয়েছে। আশা করি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো অংশীদারিত্ব থাকবে তাদের। এই পিচে ৪০০+ রান আশা করছি।’
টস হেরে ব্যাট করতে শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খেই হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোনোভাবেই রান দিতে রাজি ছিলেন না হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামরা। ১৪তম ওভারে সফল হন তাসকিন। তুলে নেন ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে।
৩৮ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ব্রাথওয়েট। দলীয় রান তখন ২৫। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে নতুন ব্যাটার কেসি কার্টিতেও তুলে নেন তাসকিন। দলীয় স্কোরকার্ডে কোনো রান যোগ না করেই ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম দিনে কেন ধুঁকতে হয়েছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন লুইস। ভেজে পিচের কারণেই রান তুলতে সমস্যা হয়েছে ক্যারিবিয়দের, এমনটা জানান তিনি।
লুইস বলেন, ‘এটি পর্যায়ক্রমিক (উন্নতির) ইনিংস ছিল। প্রাথমিকভাবে সামান্য আর্দ্রতা ছিল। কিছুটা ধীরগতিরও। আমার ও অ্যালিকের জুটি ছিল মূল বিষয়। সে আমাকে এমনভাবে পরিচালিত করেছে যেন সে আরও অভিজ্ঞ এবং আমাকে তথ্য সরবরাহ করেছে।’
লুইস ও অ্যাথানাজে- দুইজনই ৯০ রানের ঘরে গিয়ে আউট হন। ২১৮ বলে ৯৭ রানে থাকতে লুইসকে শাহাদাত হোসেন দিপুর ক্যাচ বানান ডানহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩০ বলে ৯০ রান করে তাইজুলের ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ হন অ্যাথানাজে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে লুইস বলেন, ‘খেলায় এক ইনিংস বাকি। আমি দ্বিতীয় ইনিংসে তিন অঙ্ক আশা করছি। আমি সত্যিই শর্ট বল খুঁজছিলাম ও যেকোনো সময় বল শর্ট বল পেলেই পুল করতে চাইতাম।’
এমএইচ/এএসএম