ধবলধোলাইয়ের পর বিশেষ ক্ষমতা হারাচ্ছেন গম্ভীর!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) গৌতম গম্ভীরের শিরোপা জেতানো, আর জাতীয় দলে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া; এই দুইয়ের মিশেলে ভারতীয় দলের নতুন হেড কোচ হন গম্ভীর। বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এই ক্রিকেটারকে কোচ করে যেন পুরোনো জিনিসই নতুন করে বুঝলো ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)।

ফ্র্যাঞ্চাইজি আর জাতীয় দলের কোচ হওয়া যে এক কথা নয়, বিসিসিআইয়ের ভাবনায় নতুন করেই হয়তো সেটা প্রতিধ্বনিত হলো।

দায়িত্ব নেওয়ার পরই শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছেন কোচ গম্ভীর। তবে সেই ব্যর্থতা আড়ালে হয়ে যেতো, যদি নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারাতে পারতো ভারত। কিন্তু জয় তো ঢের দূরের কথা। উল্টো ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো ভারত।

এমনকি তিন বা তার বেশি ম্যাচে এর আগে ঘরের মাঠে কখনো হোয়াইটওয়াশ হয়নি ভারত। সেই লজ্জাও এবার তাদেরকে দিলো নিউজিল্যান্ড। ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাইয়ের পর প্রশ্ন উঠেছে গম্ভীরের সামর্থ্য আর কৌশল নিয়ে। সঙ্গে ব্যাটারদের ব্যর্থতা তো আলোচনায় আছেই।

নিউজিল্যান্ড সিরিজে গম্ভীরের বেশকিছু সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি বিসিসিআই। এরমধ্যে মোহাম্মদ সিরাজকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে পাঠানো আর সরফরাজ খানকে আটে ব্যাটিং করানোকে অন্যতম বাজে সিদ্ধান্ত মনে করছে বোর্ড। এসব কারণে হেড কোচ হিসেবে গম্ভীরের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে ভারত।

বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির উপর। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের এই সিরিজে জিততে হবে ভারতীয়দের। গম্ভীরের উপরও চাপ থাকবে প্রবল। নিজেকে প্রমাণ করার এটাই সেরা সুযোগ তার জন্য। আর ব্যর্থ হলো বিসিসিআইয়ের তোপের মুখে পড়বেন গম্ভীর, এটাও প্রায় নিশ্চিত।

অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যর্থ হলে গম্ভীরের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে বিশেষ ক্ষমতা। যা রবি শাস্ত্রী ও রাহুল দ্রাবিড়ের মতো স্বনামধন্য কোচকেও দেয়নি বিসিসিআই। অথচ গম্ভীরের হাতে শুরু থেকেই সেই ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল।

দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গম্ভীরের মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বিসিসিআই। গুরুত্ব বললেও ভুল হবে, গম্ভীর যা বলতেন, সেটাই করতো বোর্ড। অথচ দ্রাবিড় ও শাস্ত্রী ভারতের কোচ থাকাকালীন দল নির্বাচনের বিষয়ে তাদের মতামতকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হতো না।

বিসিসিআইয়ের সংবিধান যে গম্ভীরকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে তা নয়। সেখানে কোচের বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে কিছুই নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া সফরের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গম্ভীরকে ছাড় দেয় বিসিসিআই।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হার্দিক পান্ডিয়াকে টপকে সূর্যকুমার যাদবের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার পিছনেও গম্ভীরের হাত ছিল। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া সফরে কেকেআরের পেসার হার্ষিত রানার নির্বাচিত হওয়ার পিছনেও গম্ভীরের মতামতই স্বীকৃতি পায় বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দল যদি ব্যর্থ হয়, তবে গম্ভীরের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে দল নির্বাচনের বিশেষ ক্ষমতা।

এমএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।