দুই অধিনায়কের সেঞ্চুরির প্রতিযোগিতায় লিভিংস্টোনের জয়
যেন দুই অধিনায়কের সেঞ্চুরি হাঁকানোর প্রতিযোগিতা। প্রথমে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ। পরে শতক তুলে নিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক লিয়াম লিভিংস্টোনও।
তবে কাজে লাগলো লিভিংস্টোনের সেঞ্চুরিই। হতাশ হলেন হোপ। দুই অধিনায়কের সেঞ্চুরি লড়াইয়ের দিনে জিতলো ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১-১ সমতায় ফিরলো ইংলিশরা।
শনিবার অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩২৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ইংল্যান্ড।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে রান তাড়ায় এই ইংলিশদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। এর আগে ২০১৯ সালে ৩৬১ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ লড়াই করার মতো পুঁজিটি গড়ে অধিনায়ক শাই হোপের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে। ১২৭ বলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ডানহাতি ক্যারিবীয় ব্যাটার। এটি হোপের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি।
৭৭ বলে ৭১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় সংগ্রহ তুলতে সহায়তা করেন ক্যাসি কার্টি। এটি ডানহাতি ব্যাটারের চতুর্থ ফিফটি। এছাড়া শারফেন রুদারফোর্ড খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩২৮।
জবাবে হার না মানা এক ইনিংস খেলেন লিভিংস্টোন। ৮৫ বলে ১২৪ রানের (৫ চার ৯ ছক্কা) অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইংলিশ অধিনায়ক। এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার প্রথম সেঞ্চুরি।
ফিফটি হাঁকান তিনজন- ওপেনার ফিল সল্ট (৫৯ বলে ৫৯), জ্যাকব বেথেল (৫৭ বলে ৫৫) ও স্যাম কারেন (৫২ বলে ৫২)। এতে ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড এই ম্যাচে বোলিং করায় ৯ জনকে। ফিল সল্ট আর জর্ডান কক্স ছাড়া বাকি সবাই বল হাতে নেন। ২টি করে উইকেট পান জন টার্নার ও আদিল রশিদ।
এমএইচ/এমএস