এখনই অধিনায়ক শান্তকে বদলের বিপক্ষে আশরাফুল
ব্যাটিং সমস্যায় জর্জরিত টিম বাংলাদেশ। সমস্যাসঙ্কুল বাংলাদেশের ক্রমাগত ব্যর্থতায় রীতিমত খলনায়ক বনে গেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
২০২৩ সালের জুন থেকে নভেম্বর; এই কয় মাসে তিন-তিনটি শতরান করার পর হঠাৎ রান খরা শান্তর ব্যাটে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেটে ১০৫ রানে ইনিংসটিই শেষ। তারপর ১৬ টেস্ট ইনিংসে ফিফটি মোটে একটি।
আর ২০২৪ সালে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট (৫, ৬, ১, ২০, ১৬, ৪, ৩৮, ২০, ৮২, ২১, ১৯, ৭, ২৩) আরও নিস্তেজ, নিষ্প্রভ। ৭ টেস্টে ফিফটি মোটে একটি (এ বছর চেন্নাইতে ভারতের বিপক্ষে ২য় ইনিংসে ৮২)। বাকি কোন টেস্টে একবারের জন্য ৪০-এর ঘরে যেতে ব্যর্থ টাইগার ক্যাপ্টেন।
একে তো দল খারাপ খেলে হারের বৃত্তে আটকা, তারওপর অধিনায়কের ব্যাটে রান নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার যত তীর অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে। তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর দাবিও উঠছে জোরে সোরে। শান্তকে কি অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেয়া উচিৎ?
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম তারকা মোহাম্মদ আশরাফুল তা করার পক্ষে নন। জাগো নিউজের সাথে ঢাকা টেস্টের পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে অধিনায়ক শান্ত প্রসঙ্গ আসতেই আশরাফুল বলে বসেন, ‘আসলে আমি বাংলাদেশে তিনটা ফরম্যাটে তিন ক্যাপ্টেন না করার পক্ষে। সেটা বাংলাদেশের কালচারের সাথে যায় না। আর সত্যি বলতে কি, শান্তর মাঠের ক্যাপ্টেন্সি; কিন্তু খারাপ বলবো না। ভাল আছে।’
কিন্তু শান্তর ব্যাটিং? ব্যাটতো একদমই কথা বলছে না। সেটা কিভাবে দেখবেন? আশরাফুলের ব্যাখ্যা, ‘হ্যাঁ, সাম্প্রতিক সময় সব ফরম্যাট মিলে ৩২ ইনিংসে শান্তর একটি মাত্র ফিফটি। তবে এ সময়ে বেশ কিছু ইনিংসে ৩০-৪০ করে আউট হয়ে গেছে; কিন্তু সেই ইনিংসগুলোর মধ্যে বেশ ক’টিতে সে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ওই বিগ ইনিংসগুলো মিস করায় সবার চক্ষুশুল হয়েছে শান্ত।’
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে মেধাবি ব্যাটার আশরাফুল কোনভাবেই দুটি জিনিস চান না। তার সোজা সাপটা কথা, শান্ত হয়ত রান করছে না। তবে ক্যাপ্টেন্সি খারাপ করেনি। তার অধীনেও কিছু সাফল্য আছে আমাদের। তিনটা টেস্ট ম্যাচ জিতছে তার ক্যাপ্টেন্সিতে।
এখন কোনভাবেই শান্তকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো ঠিক হবে না। আর কোনভাবেই যেন মিরাজকে ক্যাপ্টেন্সি দেয়া না হয়। তার উপলব্ধি মিরাজের বয়স কম। আর এখন ভাল খেলছ। রান করছে। অধিনায়কত্বের চাপে তার পারফরমেন্সটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তাই আশরাফুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ক্যাপ্টেন্সি চেঞ্জ করা উচিৎ না। মিরাজ আমাদের ফিউচার ক্যাপ্টেন; কিন্তু বয়স কম। মিরাজ ভাল খেলতেছে। আমাদের উচিৎ পারফরমার মিরাজের সেরাটা নেয়া এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা।’
এআরবি/আইএইচএস