‘খারাপ খেলে ট্রল হতে হতেই অনেকে তারকা হয়ে গেছে’
নীরবে-নিভৃতে বাংলাদেশের কিংবদন্তি স্পিনার হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তাইজুল ইসলাম। আজ (সোমবার) মিরপুর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার।
সাকিব আল হাসানের মতো স্পিনারের যেখানে লেগেছে ৫৪ টেস্ট। সেখানে তাইজুলের ২০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকতে লাগলো ৪৮ টেস্ট।
দীর্ঘদিন টেস্ট ফরম্যাটে ভালো খেলছেন। কিন্তু সাকিবের ছায়ায় থেকে তারকা হয়ে উঠা হয়নি তাইজুলের। তাকে নিয়ে কখনও সেভাবে আলোচনাও হয়নি।
তারকা হয়ে উঠতে না পারার এই প্রসঙ্গ আসতেই যেন কিছুটা আক্ষেপই ঝরে পড়লো তাইজুলের কণ্ঠে। বললেন, ‘আসলে আমাদের দেশে সত্যি কথা বলতে কি অনেক কিছুই মুখে মুখে হয়। বিষয়টা হলো যে অনেক সময় দেখা যায় খারাপ খেলতে খেলতে ট্রল হতে হতেই তারকা হয়ে গেছে। আবার অনেকে ভালো খেলেও তারকা হতে পারেনি। আমি এটা মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
তবে কি তাকে বঞ্চিত হতে হয়েছে? সামর্থ্য তাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি? তাইজুল তেমনটা মানতে নারাজ। তার কথা, ‘বঞ্চিত বলতে...প্রশ্নটা কেমন জানি হয়ে গেল। বঞ্চিতের এখানে কিছু নেই। বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ের উদাহরণ আছে। যখন মুরালিধরন ছিল, ওই সময় কিন্তু রঙ্গনা হেরাথ খেলতে পারেনি। হেরাথ যখন এসেছে তখন অনেক উইকেট পেয়েছে এবং লম্বা সময় খেলেছে। আমিও দেখি সামনে ভালো কিছু হয় নাকি।’
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্টই আছেন তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনার বলেন, ‘ক্যারিয়ার যে খুব খারাপ আছে, তা বলব না। আলহামদুলিল্লাহ ক্যারিয়ার খুব ভালো আছে। আপনি সব কন্ডিশনে সবসময় তিনটা স্পিনার খেলাতে পারবেন না। অনেক জায়গায় একজন স্পিনারই খেলাতে হবে। আমার মনে হয় এরকম কখনো হয় নাই যে তিনটা স্পিনার খেলানো দরকার একজন বা দুইজন খেলিয়েছে। তবে কোনো সময় ইন, কোনো সময় আউট। আমার যতদিন দিনের ক্যারিয়ার সে জায়গা থেকে আরও বেশি ম্যাচ খেলা উচিত ছিল। সে জায়গা থেকে হয়নি আরকি!’
২০০ উইকেট হয়ে গেছে। ক্যারিয়ারের শেষে কি নিজের নামের পাশে ৩৫০-৪০০ উইকেট দেখতে চান? তাইজুল এমন কথায় হেসে দিলেন। বললেন, ‘এটা আগে দেখতে হবে ৫ বছরে কয়টা টেস্ট আছে। এটা আগে হিসাব করব, তারপর বুঝতে পারব। টেস্ট যদি থাকে ১০টা তাহলে তো কঠিন (হাসি)।’
এমএমআর/এমএস