দামে বড় লাফ ক্লাসেনের, হতাশ কামিন্স
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর ও আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে গেছে গত মৌসুমে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ৪টি ইনিংসই হয়েছে ওই মৌসুমে। এর মধ্যে তিনটি ইনিংসই (২৮৭, ২৭৭ ও ২৬৬) আসরের ফাইনালিস্ট সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আর একটি (২৭২) চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর)।
হায়দরাবাদের এসব ভয়ংকর ইনিংসের নায়ক অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন, ট্রাভিস হেড ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরা। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে তুলতে অবদান রেখেছিলেন ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপির অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স।
গেল আসরের মতো আগামী আসরে সেই ভয়ংকর রূপ দেখাতে চায় হায়দরাবাদ। তার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দরকার অভিষেক, ক্লাসেন ও রেড্ডির মতো ভয়ডরহীন ও দানবীয় ব্যাটারদের।
লক্ষ্য বাস্তবায়নে আগামী আসরের জন্য অভিষেক, কামিন্স ও ক্লাসেনকে রিটেনশন (খেলোয়াড় ধরে রাখা) করেছে হায়দরাবাদ। হেড ও রেড্ডির বিষয়েও আলোচনা চলমান রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রিটেনশনের শেষ দিনের আগেই হয়তো এই দুই ক্রিকেটারকে নিজেদের দলে চূড়ান্ত করবে দক্ষিণ ভারতের দলটি।
২০২৫ সালের আইপিএলের মেগা নিলামকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের দামে পরিবর্তন এনেছেও হায়দরাবাদ। দাম বেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটার ক্লাসেনের। ২০২৩ সালের আসরে ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপির ক্লাসেনকে এবার ২৩ কোটি রুপিতে রিটেইন করেছে হায়দরাবাদ। অর্থাৎ দুই মৌসুমের ব্যবধানে প্রোটিয়া ডানহাতি ব্যাটারের দাম বেড়েছে ৩৩৮ শতাংশ, মানে তিনগুণেরও বেশি।
ক্লাসেনের দাম বাড়ার কারণ গত মৌসুমের দানবীয় ব্যাটিং। ২০২৪ সালে ১৭১.০৭ স্ট্রাইকরেটে ৪৭৯ রান করেন প্রোটিয়া ব্যাটার। হাঁকান মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮টি ছক্কা।
দাম বেড়েছে অভিষেকেরও। সাড়ে ৬ কোটি রুপির এই ওপেনারকে আগামী মৌসুমের জন্য ১৪ কোটি রুপিতে রিটেইন করেছে হায়দরাবাদ। অর্থাৎ নতুন মৌসুমে অভিষেকের দাম বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। এখানেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে পারফরম্যান্স। গত মৌসুমে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছক্কা (৪২টি) হাঁকানোর রেকর্ড করেছেন অভিষেক। ১৯৪.৮৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে তুলেছেন ৪৮৪ রান। সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের তালিকায়ও ছিলেন অভিষেক।
দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতা দেখালেও দাম কমেছে কামিন্সের। অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডারের দাম কমেছে ১২.২ শতাংশ। গত মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপির বিনিময়ে আইপিএলে এসেছিলেন কামিন্স। কিন্তু আগামী ২০২৫ সালের আসরের জন্য তাকে ১৮ কোটি রুপিতে রিটেইন করেছে হায়দরাবাদ। যে কারণে কিছুটা হতাশ হতেই পারেন অসি অলরাউন্ডার।
নতুন নিয়ম অনুসারে আগামী আসরের জন্য সর্বোচ্চ ৬ জন ক্রিকেটারকে রিটেইন করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এর মধ্যে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার থাকতে পারবেন ৫ জন (ভারতীয় অথবা বিদেশি)। আর ২০২৪ সালে দলে খেলেছেন কিন্তু জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি, এমন দুইজনকে ধরে রাখা যাবে।
এমএইচ/জেআইএম