ভারতীয় সমর্থকদের মারধরে আহত ‘টাইগার রবি’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চেন্নাই টেস্টে ভারতীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে উগ্র আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থক মোহাম্মদ রবি। ওই টেস্টে তাকে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন। কালো ও হলুদ রংয়ের বাঘের পোশাক গায়ে ‘টাইগার রবি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই সমর্থক এবার ভারতীয় দর্শকদের মারধরেরই শিকার হলেন। কানপুরের গ্রিন পার্কে স্বাগতিক দলের দর্শকদের হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে যেতে হয় টাইগার রবিকে।

টাইগার রবির দাবি, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে প্রায় ১৫ জন লোক তাকে নির্মমভাবে মেরেছে। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রবি জানায়, লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগে ঘটনাটি ঘটে।

অজ্ঞান হওয়ার পর টাইগার রবিকে হাসপাতালে নিচ্ছে ভারতীয় পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রবি বলেন, ‘সকাল থেকে ভিড়ের একটা অংশ আমাকে গালাগালি করছে। লাঞ্চের ডাক পড়লে আমি শুধু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হকের নাম বলতে লাগলাম। তাদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। আমার মাসকট (টাইগার) এবং আমার পতাকা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে মারতে শুরু করে।’

তিন দিন আগে ভারতীয়দের হামলার আশঙ্কা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন রবি। এরপর আজ খেলার শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন তিনি। স্টেডিয়ামের এক কোণায় একা দাঁড়িয়ে খেলা দেখেন টাইগার রবি। নিরাপত্তার কারণে দর্শকদের জন্য সেখানে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।

রবি বলেন, ‘একজন পুলিশ আমাকে ওই ব্লকে দাঁড়াতে মানা করেছেন। শুধুমাত্র ভয় পেয়ে আমি সেখানে ছিলাম। সকাল থেকেই তারা গালাগাল করছিল। যথেষ্ট বলিউড সিনেমা দেখার কারণে আমি গালাগাল বুঝতে পারি।’

যদিও ভারতীয় এক পুলিশ সদস্যের দাবি, রবিকে কেউ মারধর করেনি। শরীরে পানিশূন্যতার কারণে তিনি অজ্ঞান হয়েছেন।

ভারতীয় সমর্থকদের হাতে বাংলাদেশিদের মার খাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পুনেতে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ চলাকালীন ‘টাইগার শোয়েব’ নামে পরিচিত শোয়েব আলি বুখারিকে মারধর করেন ভারতীয় সমর্থকরা। সে সময়ও তার টাইগার মাসকট ছিঁড়ে ফেলা হয়।

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।