শাহরিয়ার নাফীস
নিরাপত্তা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো বরাবরই এশিয়া মহাদেশে খেলতে এলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে খুঁতখুঁতে থাকে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
সামনের মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ প্রোটিয়াদের। তার আগে এ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। ঢাকা-চট্টগ্রামে দুই টেস্টের ভেন্যুই তারা দেখে গেছেন।
মাঠ, অনুশীলন সুবিধা, হোটেল, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ আরও অনেক কিছু পরখ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার নিরাপত্তা প্রতিনিধিদলের প্রধান ররি স্টেইন সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখে গেছেন আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া নিরাপত্তা মহড়াও।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল যদি কোনোভাবে সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী কীভাবে তাদের উদ্ধার করবে; তার একটা মহড়া হয়েছে আজ।
কেন এই নিরাপত্তা মহড়া? জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান শাহরিয়ার নাফীস গণমাধ্যমের সামনে এসে পরিষ্কার করলেন, যেহেতু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে, তাই সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতেই এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিনিধি দলের ভাবনা কী? শাহরিয়ার নাফীস বললেন, তিনি যতটুকু বুঝতে পেরেছেন সফরকারি দলের প্রতিনিধিরা বেশ সন্তুষ্ট।
নাফীস বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কারোরই কোনো সংশয় থাকা উচিত না, আমি মনে করি। আমি পুরোটা সময় তাদের (নিরাপত্তা দল) সঙ্গে ছিলাম, আমি কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। অস্বাভাবিক কিছু তো হয়নি, দেখব কীভাবে। এই প্রস্তুতিটা আমাদের সবসময়ই থাকে। ওরা সার্বিকভাবে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে চেয়েছিল। আমরা কীভাবে সিকিউরিটি প্রদান করে থাকি, তারা সেটা দেখে গেছে।’
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান যোগ করেন, ‘সবমিলিয়ে আমি তাদের কথাবার্তায় যতটুকু বুঝতে পেরেছি, তারা খুবই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা বারবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স, র্যাব, এসবি, ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্সসহ ওভারঅল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো আয়োজন আমরা করতে পেরেছি।’
‘আমার তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের আচার-আচরণে মনে হয়েছে, তারা বেশ সন্তুষ্ট। তারা এখন দেশে ফেরত যাবেন এবং ফাইনাল রিপোর্ট দেবেন।’
এমএমআর/এমএস